বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা:বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানির জন্য পরবর্তী দিন আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।
আজ খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবীরা সময় আবেদন করায় পুরান ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসাসংলগ্ন মাঠে স্থাপিত ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এ দিন নির্ধারণ করেন।
আদালত সূত্র জানায়, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা দুর্নীতির এই দুই মামলায় আজ শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্ত খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। যার কারণে তার আইনজীবীরা সময় আবেদন করলে আদালত মঞ্জুর করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা আজ আদালতে আসার প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু তিনি অসুস্থ হওয়ায় আদালতে আসতে পারেননি। তাই তার পক্ষে সময় আবেদন করা হয়েছে।
এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি এ দুই মামলায় খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য ছিল। এদিন আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানিতে হাজির হয়ে খালেদা জিয়া এবং তার আইনজীবীরা আদালতের প্রতি অনাস্থা জানান।
এরপর খালেদার আইনজীবীরা শুনানি মুলতবির আবেদন করেন।
এর বিরোধিতা করেন দুদকের আইনজীবী। আদালত মুলতবি রাখার মতো কোনো কারণ না থাকার কথা জানিয়ে বিচারক আবু আহমেদ জমাদার তা খারিজ করে বলেন, ‘আপনারা যদি উচ্চ আদালতে যেতে চান যান। যখন হাইকোর্ট বিভাগ এ কোর্টকে বন্ধ করবে, তখন বিচারকাজ বন্ধ থাকবে।’
এরপর মামলার অপর আসামি শরফুদ্দিন আহমেদসহ চারজনের সাফাই সাক্ষীর জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।
একই সঙ্গে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের অসমাপ্ত বক্তব্য দেয়ার দিন ধার্য ছিল।
২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করে দুদক। এরপর এই মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
মামলা অপর আসামিরা হলেন- হারিছ চৌধুরী এবং তার তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান আসামি।
এছাড়া ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়।
২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
এই মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়াও তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।
দুই মামলায় খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তৎকালীন বিচারক বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করেন।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস