দিনাজপুরে গত তিনদিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে দিনাজপুর। কনকনে শীতে নাজেহাল জেলার জনজীবন।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করতে দেখা গেছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না।
গত ৭ ডিসেম্বর দিনাজপুরে হঠাৎ করেই তাপমাত্রা নেমে আসে ১০.১ ডিগ্রিতে। এর পরদিন ৮ ডিসেম্বর তাপমাত্রা বেড়ে দাড়ায় ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। কিন্তু ৯ ডিসেম্বর সোমাবার তাপমাত্রা খুব একটা না কমলেও ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে দিনাজপুর। অনুভূত হতে শুরু করে কনকনে শীত। সেই থেকে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা মেলেনি। সন্ধ্যার পর থেকেই ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মত কুয়াশা পড়ছে।
১০ ডিসেম্বর ১৩.৫ ও বুধবার ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে তাপমাত্রা। দুপুর ১২টার পর থেকে হিমেল বাতাস বইতে শুরু করেছে। বাড়তে শুরু করেছে কুয়াশাও।
শহরের বাহাদুর বাজার এলাকার মনা ইসলাম বলেন, গত তিনদিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। আবার দুপুর থেকে বাতাস বইতে শুরু করেছে। আজ বেশী শীত অনূভূত হচ্ছে। কনকনে শীতে হাত পা ঠাডাচ্ছে।
উপশহর এলাকার ৭ নম্বর বøকের বাসিন্দা জবান আলী বলেন, দিনাজপুরে হঠাৎ করেই শীত নেমেছে। তাপমাত্রা খুব একটা না কমলেও কনকনে শীত নাজেহাল করে ফেলেছে। এতে হতদরিদ্র মানুষের কষ্ট বড়েছে।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বুধবার দিনাজপুরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১ কিলোমিটার।
অপরদিকে, দিনাজপুর জেলার ত্রাণ কর্মকর্তা প্রকৌশলী আনিছুর রহমান বলেন, আমরা শীতবস্ত্র কেনার জন্য ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ চেয়েছিলাম। সেই আলোকে তিন হাজার কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা ১৩ উপজেলার ইউএনওকে ভাগ করে দিয়েছি। তারা বিতরণ শুরু করেছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস