বাংলা৭১নিউজ,মোঃ মনসুর আলী,আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘিতে এ বছর আমগাছে ব্যাপক মকুলের সমারোহ দেখা দিয়েছে। আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে এখন চারিদিক গাছের ডালে ডালে সোনালী মকুলগুলো যেন উজ্জল রোদের মতই হাঁসছে।
আমের মুকুল কেবল গাছেই ছেয়ে যায়নি, ছুঁয়ে গেছে চাষীদের হৃদয়ও। নতুন বাগান তৈরী, পরিচর্যা আর আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে এ উপজেলায় বাড়ছে আমের উৎপাদন। আমগাছ গুলোতে ফাল্গুন মাসের প্রথম দিক থেকেই প্রচুর কুঁড়ি এবং মুকুলের সমারোহ হয়।
গাছে গাছে ফোটা মুকুল বর্তমানে গুটিতে রুপান্তরিত হতে শুরু করেছে। এবার গাছে গাছে ব্যাপক মুকুলের সমারোহ দেখা দাওয়ায় আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। চলতি বছরে গাছে গাছে মুকুলের সমারোহ দেখে বাগান মালিক ও ব্যাবসায়ীরা আশায় বুক বেধেঁছে।
আবহাওয়া অনুকুরে থাকলে তারা লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। আমের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে চাষীরা ও বাগান মালিকরা রুটিন মাফিক গাছের কীট নাশক ¯েপ্র করাসহ পরিচর্যার কাজে ব্যাস্ত।
স্থানীয় আম চাষীরা জানান, গাছে গাছে এতবেশী মুকুল দেখা দিয়েছে তাতে চলতি বছর আমের ফলন গত ১০ বছরের ফলনকে ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বর্তমান আমবাগান লাভজনক হওয়ার ফলে কৃষকরা পুরনো আম বাগানের পাশাপাশি পতিত জায়গা ছারাও ফসলের আবাদী জমিতেও এবার অনেক উদ্যোক্তা আমবাগান তৈরি করেছেন।
এককভাবে আমবাগান তৈরি ছাড়াও অনেক কৃষক আবাদি জমিতে সাথী ফসল হিসাবে আম গাছ লাগিয়েছেন। এবার ফজলি আম রুপালী গাছে বেশী মুকুল ফুটেছে। এছাড়া দেশীয় উন্নত জাতের ল্যাংড়া, খিরসাপাতি, গোপালভোগ, লক্ষনভোগ, গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কামারুজ্জামান জানান, এ উপজেলাতে এবার আমের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর আমের চাষ যেমন বেশী হয়েছে তেমনি আমগাছে মুকুলও এসেছে বেশী। বাগান গুলোতে দেখা গেছে ৯০ শতাংশ গাছে মুকুল এসেছে। অনুকুল আবহাওয়া এবং কৃষকরা আমবাগানের পরিচর্যায় যত্নবান হওয়ায় এ উপজেলায় আমের উৎপাদন সংখ্যা বৃদ্ধিপাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন করেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস