বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও নেতাকর্মীদের চরম দমন পিড়ন চালিয়েও দলের কিছু করতে না পেরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর সহ্য করতে পারছেন না। ক্ষত বিক্ষত হয়ে এখন আর্তনাদ করছেন।
আজ বৃহস্পতিবার নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ফিউচার অফ বাংলাদেশ আয়োজিত গণতন্ত্রহীনতা বনাম জবাবদিহিতা শীর্ষক তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে মুক্ত আলোচনায় এসব কথা বলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন, খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে এতো দমন পিড়ন করছি, নেতাকর্মীদের এতো নির্যাতন করছি, তার পরও বিএনপি এতো ঐক্যবদ্ধ। লন্ডন থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এগুলো শেখ হাসিনা আর সহ্য করতে পারছেন না। ক্ষত বিক্ষত হয়ে এখন আর্তনাদ করছেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। এখানে রাতের অন্ধকারে যে কোন যুবক অদৃশ্য হয়ে যায়। গুম করা হয়। কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের তিন জন চোখ বেধে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে লন্ডনে সাংবাদিকরা প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করলে এড়িয়ে গিয়েছেন। উত্তর দেননি। বলেছেন তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনা হবে। এখানেই তো তার জালা, এখানেই তো তার ভয় ও বিদ্বেষ।
রিজভী বলেন, বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়ে পার্লামেন্ট গঠন করেছেন। সেই পার্লামেন্টের প্রধানমন্ত্রী হয়ে তিনি এতো অহঙ্কার করেন। বিরোধী পক্ষকে দেখে নেবেন বলেন। কিভাবে তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে আনবেন এসব বলে বেড়ান। লন্ডনকে বলা হয় পৃথিবীর সব চেয়ে প্রাচীন ও যাকে বলা হয় গণতন্ত্রের আতুড়ঘর, সেখান থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য গণমাধ্যমে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস