বাংলা৭১নিউজ, চট্টগ্রাম : জেলার দক্ষিণ অঞ্চলের ৭ উপজেলায় এবার শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকায় সাধারণ মানুষ বেশ খুশি। আর ফলন ভালো হওয়ায় চাষিরাও রয়েছেন ফুরফুরে মেজাজে। নায্য দাম পেয়ে চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। চট্টগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আমিনুল হক চৌধুরী বলেন, ‘মাঠপর্যায়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাছাড়া তাদেরকে বৈজ্ঞানিক উপায়ে সবজি চাষের উপর প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এ কারণে পুরো চট্টগ্রামে আগের চেয়ে এবার বেশি সবজি উৎপাদন হচ্ছে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাত উপজেলা পটিয়া, আনোয়ারা, বোয়ালখালী, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, লোহাগাড়া ও বাঁশখালীর মোট ১ লাখ ৬৬ হাজার ৯৩ জন কৃষক এবার ৮১৪০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির চাষ করেছেন। চাষিরা জানিয়েছে, শীতের মৌসুম শুরু হতেই সবজির ভরপুর আবাদ হয়েছে দক্ষিণ চট্টগ্রামে। অনুকূল আবহাওয়া এবং বীজ সংকট না থাকায় আগেভাগেই শীতের সবজি চাষ শুরু হয়েছে।
সরেজমিনে চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী রেলওয়ে মাঠ, বাগিচাহাট, খানহাট; সাতকানিয়ার কেরানীহাট; পটিয়ার কমল মুন্সিরহাট, শান্তিরহাট, কলেজবাজার; আনোয়ারা ক্রসিং সবজি বাজারসহ বেশকিছু পাইকারী সবজি বাজারে গিয়ে দেখা গেছে সবখানেই শীতকালীন সবজির সমাহার। মুলা, বেগুন, শিম, টমেটো, কুমড়ো, ফুলকপি, বাধাকপিসহ ও বিভিন্ন ধরনের শাকে বাজারগুলো ভরপুর হয়ে গেছে।
সাতকানিয়া উপজেলার কেরানীহাটে মুলা বিক্রি করতে আসা মোহাম্মদ শাহজাহান জানালেন, তিনি ৩০ শতক জমিতে মুলা চাষ করেছেন। যেভাবে দাম পাচ্ছেন তাতে সব খরচ বাদ দিয়ে ৫০ হাজার টাকার মত লাভ হবে। পটিয়া উপজেলার শান্তিরহাটে ফুলকফি বিক্রেতা করিম জানায় ‘এবার শীতকালীন সবজির ফলন ভালো হওয়ায় চাষিরা খুশি। আমিও ভালো ফলন পেয়েছি ভালো লাভ পাবো।’
বাংলা৭১নিউজ/এম