বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: বুধবার নয়াদিল্লিস্থ বিদ্যুৎ, কয়লা, নবায়নযোগ্য সম্পদ ও খনিজ মন্ত্রণালয়ের সাথে বাংলাদেশ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের দ্বিপাক্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারতের বিদ্যুৎ, কয়লা, নবায়নযোগ্য সম্পদ ও খনিজ প্রতিমন্ত্রী পিযুষ গোয়াল।
বৈঠকে ত্রিপুরা থেকে আরো ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক সম্ভাব্যতা সম্পন্ন করে আলোচনার উদ্যোগ নেয়া হবে। স্রেডার সাথে ইইএসএল-এর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মাধ্যমে আসাম-বাংলাদেশ-বিহারের ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পরিচালনা লাইন হতে বাংলাদেশে ১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেয়া হবে। বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাওয়ার লিঃ কোম্পানি ভারতে প্রতিটি ২৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন তিনটি ইউনিটের বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করবে।
বৈঠকে ক্রস বর্ডার বিদ্যুৎ বাণিজ্যের ফ্রেমওয়ার্ক আপডেট, আসাম থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট হতে ৫০০ মে.ওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি, ভুটান হতে বিদ্যুৎ আমদানি এবং ভুটান, ভারত ও বাংলাদেশের সাথে ত্রি-দেশীয় সভার সময় নির্ধারণ, ভারতের কোম্পানি ইইএসএল-এর সাথে স্রেডার সমঝােতা চুক্তি এবং ১১তম জেএসসি সভার সিদ্ধান্তগুলো পর্যালোচনা করা হয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি বিষয়ে ভারতের ইতিবাচক মনোভাবের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন। তিনি বিদ্যুৎ সপ্তাহ-২০১৬-এ প্রতিমন্ত্রী পিযুষ গোয়ালকে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানান।
বৈঠকে উভয় দেশের স্ব-স্ব মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস