বর্তমানে ওমিক্রনের সংক্রমণের বিশ্ববাসী আতঙ্কিত। যদিও এখনো পশ্চিমের দেশগুলোতেই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তবে পিছিয়ে নেই পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, এমনকি বাংলাদেশও। এরই মধ্যে দেশে ৯ জনের শরীরে মিলেছে ওমিক্রন, একইসঙ্গে বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যাও।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ওমিক্রনের হাত ধরেই এসেছে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন। ফুসফুসে সংক্রমণ, শ্বাসকষ্ট, অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার মত সমস্যায় পড়েছিলেন বেশিরভাগ।
অক্সিজেনের অভাবেই বেশি মৃত্যু ঘটেছিল। তবে ওমিক্রনে যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে শ্বাসকষ্টজনিত কোনো সমস্যার কথা শোনা যায়নি। তবে ওমিক্রন কোভিডের মূল স্ট্রেন থেকে কতখানি আলাদা তা এখনো জানা যায়নি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র পক্ষ থেকে এখনো কিছু স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি। বিষয়টি এখনো গবেষণাধীন। তবে করোনার প্রাথমিক লক্ষণ হলো- জ্বর, মাথাব্যথা, নাক দিয়ে পানি পড়া, গলা ব্যথা ও স্বাদ-গন্ধের অনুভূতি হারানো।
তবে ওমিক্রনে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে স্বাদ-গন্ধের অনুভূতি হারানো কিংবা শ্বসকষ্টের কোনো খবর মেলেনি এখনো। আবার অধিকাংশ মানুষই টিকাপ্রাপ্ত হওয়ায় অনেকেই উপসর্গহীন। অনেকেরই আবার ত্বকে নানা রকম ফুসকুড়ি দেখা দিচ্ছে।
একই সঙ্গে কনজাংটিভাইটিস, ডায়ারিয়ার মতো সমস্যাও থাকছে কিছু ক্ষেত্রে। তবে ব্যক্তিভেদে ও তাদের স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে উপসর্গও বদলে যাচ্ছে কিছুক্ষেত্রে।
এ সময় কয়েকটি উপসর্গের দিকেও সমানভাবে নজর দিতে হবে। যেমন- ত্বকের রং ফ্যাকাশে হলে, নখ, ঠোঁট বিবর্ণ হয়ে গেলে বিষয়টি হালকা ভাবে নেবেন না।
আপনার ত্বক, ঠোঁট বা নখের রং যদি ফ্যাকাশে, ধূসর বা নীল হয়ে যায় তাহলে তা হতে পারে করোনা সংক্রমণের লক্ষণ। ত্বক বা নখের রং পরিবর্তনের সমস্যাকে সায়ানোসিস বলে। যদি শরীরে কোনও কারণে অক্সিজেন কম আসে, রক্তে লেহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ কমে যায় তখনই এ সমস্যা হয়।
আর এ সমস্যার সঙ্গে যদি আসে শ্বাসকষ্টের সমস্যা তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। শুধু তাই নয়, ফুসফুস কিংবা হার্টে রক্ত জমাট বাঁধলেও ত্বক বিবর্ণ হয়। দেখা দিতে পারে একাধিক উপসর্গ।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ