নবগঙ্গা নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে ভাঙনের কবলে পড়েছে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার কাঞ্চনপুর, বারইপাড়া, মাহাজনসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। তবে ঝুঁকিতে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ বারইপাড়া-মাহাজন সড়ক, নতুন বাজার, শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি, মসজিদ, কবরস্থানসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকালে ভাঙন কবলিত এলাকা ঘুরে জানা গেছে, গত ১৫ দিনে নবগঙ্গা নদীর অব্যাহত ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে অসংখ্য বসতবাড়ি, ফসলী জমি, কাঁচাপাকা ঘর, গাছপালাসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ভাঙনের ঝুঁকিতে থাকা বারইপাড়া-মাহাজন সড়কটি নদী গর্ভে বিলীন হলে তলিয়ে যাবে হাজার হাজার একর ফসলী জমি, ভেসে যাবে শত শত মাছের ঘের।
কাঞ্চনপুর গ্রামের আলেক শেখ বলেন, বাড়িঘর সব নদীতে চলে গেছে। মাথা গোঁজার মত এই বাড়িটাই শুধু ছিলো তাও চলে গেলো । এখন ছেলে মেয়েদের নিয়ে খুব কষ্টে জীবনযাপন করছি।
বসতবাড়ি হারিয়ে দিশেহারা তবিবুর শেখ জানান,আমার সারাজীনের কষ্টের ফসল বাড়িটি তাও নদীতে চলে গেছে। এখন পরিবার পরিজন নিয়ে কোথায় থাকবো। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ভাঙন রোধে জরুরী ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলে নদী ভাঙন রোধের প্রাথমিক চেষ্টা করেছিলো নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ড ।
নবগঙ্গার ভাঙনের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন। তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষের নির্দেশে জরুরীভাবে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার সাহা জানান, স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধে সার্ভে করে প্রকল্প গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। একই সাথে জরুরীভিত্তিতে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএকে