বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা:বাংলাদেশ তিস্তাসহ আরও ছয় নদীর পানি বণ্টন সমস্যার মীমাংসা চেয়েছে। আর এসব নদীর পানি বণ্টনের মীমাংসায় আগ্রহ দেখিয়েছে ভারত। জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
আজ মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নেতৃত্বে যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ড. মোমেন জানান, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তিস্তাসহ ছয়টি নদীর পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেসব নদীর পানি বণ্টন সমস্যার মীমাংসা চেয়েছে বাংলাদেশ। ভারত এসব নদীর পানি বণ্টনের মীমাংসায় আগ্রহ দেখিয়েছে।মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বৈঠক শুরু হয়। ভার্চ্যুয়ালি এই বৈঠক চলে এক ঘণ্টা।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আর ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর।সূত্র জানায়, বৈঠকে তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, সীমান্ত হত্যা, ভারতের ক্রেডিট লাইন, প্রতিরক্ষা, কানেক্টিভিটি, নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি বিষয় বৈঠকে আলোচনা হয়।সীমান্ত হত্যা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন। এ ইস্যুতে ভারতও একই প্রকার মনোভাব প্রকাশ করেছে।বৈঠক সূত্রে আরও জানা যায়, চলমান মহামারির প্রেক্ষাপটে উভয় পক্ষই স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বিশেষত করোনার ভ্যাকসিনের সরবরাহ, বিতরণ এবং সহ-উৎপাদনের ক্ষেত্রে। ভবিষ্যতে সম্ভাব্য ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দেয়ার বিষয়ে ভারতের আশ্বাসের প্রশংসা করেছেন ড. মোমেন।করোনার কারণে এই প্রথম জেসিসি বৈঠক ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে জেসিসির পঞ্চম বৈঠক হয়েছিল দিল্লিতে। ২০১৯ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন ও ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের নেতৃত্বে সেই বৈঠক হয়েছিল।
বাংলা৭১নিউজ/এবি