বাংলা৭১নিউজ, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : শস্যভান্ডার খ্যাত সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জমির শ্রেনি পরিবর্তন করে ফসলী জমি নষ্ট করে পুকুর খনন চলছে বেপোররোয়া ভাবে। এভাবে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে পুকুর খননের ফলে কমে যাচ্ছে শত শত একর ফসলী জমি। অবাদে পুকুর খনন চলতে থাকলে আগামী ৫ বছরের মধ্যে তাড়াশ উপজেলাতে ফসলী জমি পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ রয়েছে স্থানীয় কৃষকদের।
এলাকার কৃষকদের অভিযোগ, কৃষি নির্ভরশীল দেশে এভাবে পুকুর খননের ফলে এক সময় দেশে খাদ্য ঘাটাতর আশংকা রয়েছে। কেহ পুকুর খনন করতে চাইলে তাহলে সরকারী বিধি মোতাবেক শ্রেনী পরিবর্তন করে করতে পারে।
অথচ সাময়িক অধিক মুনাফার লোভে পরে এক শ্রেনির দালাল চক্র নিরহ জমি মালিকদের ভুল ভাল বুঝিয়ে কোন নিয়ম নীতি না মেনে নিজেদের ইচ্ছে মতো অপরিকল্পিত ভাবে কাটছে পুকুর । আবার প্রভাবশালীরা সরকারি বিভিন্ন রাস্তার খাল দখল করে পুকুর খননের কারুনে জনগুরুত্ব পূর্ন রাস্তা ভেঙ্গে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার স্বীকার হতে হচ্ছে পথচারীদের।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মর্কতা কৃষিবিদ মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, শস্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত তাড়াশ উপজেলায় গত ৩ বছরে যেভাবে পুকুর খনন শুরু হয়েছে তাতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এলাকায় কৃষি জমি পাওয়া হবে দুষ্পাপ্য। যত্রতত্র ভাবে এসব পুকুর খনন বন্ধে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম ফেরদৌস ইসলাম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আহসান হাবীব জিতু অভিযান শুরু করছেন।
এ বিষয়ে তাড়াশ সহকারী কমিশনার (ভূমি) আহসান হাবীব জিতু বলেন, পুকুর কাটা রোধে আমরা অভিযান শুরু করেছি। তিনি আরো বলেন, অভিযানের ফলে এক শ্রেনির অসাধু ব্যাক্তি রাতে পুকুর কাটছে। প্রয়োজনে রাতেও আমাদের অভিযান পরিচালনা করা হবে। যারা নিয়ম নীতি ভঙ্গ করে পুকুর খনন করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম ফেরদৌস ইসলাম বলেন, আমরা শুরু করেছি পুকুর কাটা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান চলমান থাকবে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস