মমিনুল ইসলাম মুন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে গত কয়েক দিনের টানা ভারি বর্ষণে আকর্ষিক বন্যায় বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় কৃষি ও মৎস্য খাতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তানোর পৌর এলাকার গোল্লাপাড়া, কুঠিপাড়া, তাঁতিয়ারপাড়া, গোকুল মথুরা এবং উপজেলার কাঁমারগা, কলমা, তালন্দ ও চাঁন্দুড়িয়া ইউপির বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলের জমি তলিয়ে গেছে ভেঙ্গে পড়েছে কাঁচা মাটির ঘর বাড়ি। এসব এলাকায় প্রায় সহস্রাধিক বসতবাড়িতে বন্যার পানি ঢুকেছে। অপরদিকে, উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে আর পাড়া-মহল্লায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে অনেক বাড়ি-ঘরের দেওয়াল ধসে পড়েছে কাঁচা রাস্তায় কাদাপানি জমে জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় চরম দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন পুকুর জলাশয় ভারিবর্ষণে ভরে গিয়ে পাহাড় ধসে পুকুরের লাখ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। এতে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন সাধারণ মানুষ।
তানোর কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার নদী ও খালে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়াই প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর রোপা-আমণের খেত তলিয়ে গেছে। অনেক এলাকায় আমনের বীজতলাসহ শাক-সবজির মারাতœক ক্ষতি হয়েছে। অনেক রাস্তা আর কালভ্রাট ভেঙ্গে জনগণের যাতায়াত মারাতœক হুমকির মুখে পড়েছে। এনিয়ে তানোর পৌর এলাকার গোল্লপাড়া গ্রামের আদর্শ কৃষক মোহাম্মদ আলী বলেন, তানোর কুঠিপাড়া, গোকুল, কামারগাঁ ও চাঁন্দুড়িয়া গ্রামের নিুাঞ্চলের বাসিন্দাদের বাড়ি-ঘরে শিবনদীর পানি উঠায় চরম বিপাকে পড়েছে তারা। এছাড়াও রহিমাডাংগা মৌজাসহ শিবনদীর আশপাশের বিভিন্ন খাল বিলে টানা বষর্ণে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়াই আমনের রোপিত ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকের হাহাকার শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে তানোর উপজেলা কুষি কর্মকর্তা শফিকুর ইসলাম বলেন, বন্যায় কৃষিখেতের ক্ষতি হয়েছে, তবে কি পরিমাণ জমির ফসল নস্ট হয়েছে সেটি তিনি জানাতে পারেননি, তিনি বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের কাজ চলছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস