বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, পুলিশের মধ্যে পেশাদারি মনোভাব অনেক বেড়েছে। আগে যেখানে প্রতিদিনই অভিযোগ পাওয়া যেত, এখন তা অনেক কম। আগের তুলনায় ৫ শতাংশ অভিযোগও পাওয়া যায় না।
আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ‘ট্রাফিক শৃঙ্খলা সপ্তাহ’ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন। তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের আচরণ কেমন হবে, সেই সম্পর্কে তাদের প্রশিক্ষণ কী?—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন।
৫ থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত পালিত হয় ট্রাফিক সপ্তাহ। ট্রাফিক সপ্তাহের ১০ দিনে সারা দেশে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হয় ১ লাখ ৮০ হাজার ২৪৯ টি। জরিমানা আদায় করা হয় ৭ কোটি ৮ লাখ ১৪ হাজার ৩৭৫ টাকা। এ সময় ৭৪ হাজার ২২৪ জন চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আটক করা হয়েছে ৫ হাজার ৪১৮টি যানবাহন। মামলাগুলোর অধিকাংশ হয়েছে রাজধানীতে।
জরিমানার তিন-চতুর্থাংশ আদায় হয়েছে রাজধানীতে। মামলা ও জরিমানার পাশাপাশি যানবাহনের চালক ও পথচারীদের উদ্দেশে প্রচার করা হয় সচেতনতামূলক বার্তা। তবে এরপরও কাঙ্ক্ষিত সফলতা আসেনি বলে মনে করেন ডিএমপি কমিশনার। আজ থেকে সড়কে আইনশৃঙ্খলা ফেরাতে আবারও শুরু হয়েছে ট্রাফিক শৃঙ্খলা সপ্তাহ।
এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, মানুষ ট্রাফিক আইন মানে না। তাই আগে ট্রাফিক সপ্তাহ পালন করা হলেও কাঙ্ক্ষিত সুফল পাওয়া যায়নি।
চেকপোস্টে পুলিশের আচরণ প্রসঙ্গে মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘চেকপোস্টে পুলিশের আচরণের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আগে আমরা রোজ অভিযোগ পেতাম। এখন মাস গেলেও পাই না। বেশ কিছুদিন আগে ট্রাফিক সিগন্যালে প্রাইভেটকারে থাকা এক নারীর ভিডিও ভাইরাল হয়। আপনারা দেখেছেন কীভাবে পুলিশ সদস্যরা বিনীতভাবে তাঁকে ট্রাফিক আইন মানতে অনুরোধ করছেন।’
এ সময় সাংবাদিকেরা ২২ অক্টোবর অপর একটি ঘটনায় ঢাকার রাস্তায় গভীর রাতে পুলিশের চৌকিতে তল্লাশির নামে এক নারী হেনস্তার বিষয়ে জানতে চান। ওই নারীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ভিডিওটি যিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন, তিনি নিজেকে বাংলাদেশ পুলিশের একজন কনিষ্ঠ কর্মকর্তা বলেও পরিচয় দেন। এই ঘটনার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কেউ অপেশাদার আচরণ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পুলিশের মতিঝিল ডিভিশনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে।। তারা কাজ শুরু করেছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশ সদস্যরা জানেন তাঁদের কেমন আচরণ করতে হবে। তাঁরা সচেতন। তাঁদের প্রশিক্ষণই দেওয়া হয়। শাস্তির ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। যে পুলিশ সদস্য ভিডিও ভাইরাল করেছেন, তিনি ভেবেছিলেন তাঁর সুনাম হবে। এতে যে সুনাম হবে না, তা বোঝার ক্ষমতাও তাঁর নেই।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ