ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্প ফাউন্ডেশন (এসএমই ফাউন্ডেশন) মধ্যে সহযোগিতা স্মারক সই হয়েছে। রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মতিঝিল ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে এই সহযোগিতা স্মারক সই করা হয়।
দেশের সিএমএসএমই খাতের সার্বিক উন্নয়ন ও সম্ভাব্য আর্থিক সহায়তা প্রাপ্তিতে সহযোগিতা প্রদান, সারাদেশে এসএমই খাতের ক্লাস্টার উন্নয়ন; রপ্তানি বৃদ্ধি ও রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ, এলডিসি পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সিএমএসএমই খাতের দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনায় যৌথভাবে কাজ করবে তারা।
ঢাকা চেম্বারের মহাসচিব আফসারুল আরিফিন এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি সই করেন।
ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান জানান, দেশের এসএমই খাতের উন্নয়নে এসএমই ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই প্রতিষ্ঠানটির সাথে একযোগে কাজ করছে। আজকের এ সহযোগিতা চুক্তি পূর্ববর্তী কাজের ধারাবাহিকতাকে আরও বেগবান করবে।
তিনি উল্লেখ করেন, দেশের সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন, উৎপাদিত পণ্যের বহুমুখীকরণ, বাজার সম্প্রসারণ, ঋণ সহায়তা প্রাপ্তি সহজীকরণ এবং প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন ও সংস্কারের ক্ষেত্রে ডিসিসিআই এবং এসএমই ফাউন্ডেশন যৌথভাবে কাজ করলে এখাতের উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন ড. মো. মাসুদুর রহমান বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক কার্যক্রমের বেশির ভাগই ঢাকা ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক, তবে সারাদেশে অর্থনীতির কার্যক্রমকে ছড়িয়ে দিতে হলে ক্ষুদ্র ও মাঝারী উদ্যোক্তাদের বিকাশের কোনও বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, করোনাকালে এসএমইদের অর্থায়নে সহায়তার লক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক ২৩ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। তবে এখাতের উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন নিশ্চিতকল্পে নীতিমালা সহজীকরণ ও আইনের সংস্কার একান্ত আবশ্যক এবং এ লক্ষে ডিসিসিআইসহ অন্যান্য বাণিজ্য সংগঠনসমূহ বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারে।
বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রতিযোগিতার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশিয় উদ্যোক্তাদের গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও নতুন পণ্য উদ্ভাবনে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানান এসএমই ফাউন্ডেশনের মাসুদুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান বলেন, শিল্পনীতিতে ২০২৭ সালে জাতীয় অর্থনীতিতে শিল্পখাতের অবদান ৪০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ অর্জন করতে হলে সারাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারী উদ্যোক্তাদের বিকাশে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
এ খাতের উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় নীতিমালা সহজীকরণ ও আইনের প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বাংলা৭১নিউজ/এবি