দেশের শেয়ারবাজারে গতি ফেরায় বাজার মূলধন ও সূচকের সঙ্গে লেনদেনেও নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে। প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনের পর প্রথম কার্যদিবস রোবববার (৬ জুন) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৬৬৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। ডিএসইর ইতিহাসে পেছনের সাড়ে ১০ বছরের মধ্যে এটিই লেনদেনের সর্বোচ্চ অবস্থান। এর আগে ২০১০ সালের ৬ ডিসেম্বর ডিএসইতে ২ হাজার ৭১০ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
তবে এদিন ডিএসইর লেনদেনের বড় উত্থান হলেও সূচক কিছুটা কমেছে। একই সঙ্গে এদিন লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫.১৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৮.২৯ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৬.১৩ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৮.৯৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ২৯৯.৩০ পয়েন্টে এবং ২ হাজার ২২২.৫৫ পয়েন্টে।
ডিএসইতে এদিন ৩৬৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব কোম্পানির মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৪৫টির বা ৩৯.৬২ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ২০১টির বা ৫৪.৯২ শতাংশের এবং ২০টির বা ৫.৪৬ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৬.৪৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫০৭.০২ পয়েন্টে। সিএসইতে এদিন ২৯২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির মধ্যে ১৩০টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৪৩টির আর ১৯টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১৫৯ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম