রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১০:৩৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ইসলামী ব্যাংকের সচেতনতা বিষয়ক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত ‘দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই’ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ করতে চায় কানাডা কুমিল্লায় বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু দূতাবাসগুলোর কার্যক্রম তদারকির নির্দেশনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাস্থ্যসেবার আওতাধীন খাতে ইউজার ফি আদায়ে নীতিমালার সুপারিশ ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে সরকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সহজলভ্য উৎস খোঁজার তাগিদ প্রতিমন্ত্রীর বান্দরবানে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত সুইজারল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন স্পিকার জঙ্গিবাদ পুরোপুরি নির্মূল না হলেও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে: আইজিপি টেকসই উন্নয়নে সময়োপযোগী আর্থিক ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে ইশরাক ১৬ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে পালানোর সময় জনতার হাতে ধরা পুলিশ কর্মকর্তা কঙ্গোতে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা বাবাকে খুঁজে পেতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপির মেয়ে ডিবিতে কালশী ট্রাফিক বক্সে আগুন দিলো অটোরিকশাচালকরা কমলাপুর আইসিডি’র নিয়ন্ত্রণ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে নিতে সুপারিশ ভোট কম পড়ার বড় ফ্যাক্টর বিএনপি : ইসি আলমগীর অভিবাসী কর্মীদের টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করছে সরকার

জয়কে কোপালেও প্রধানমন্ত্রী বলবেন সে নাস্তিক ছিল: ফেসবুকে তসলিমা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ২ মে, ২০১৬
  • ১৫৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করে বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন সোমবার তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, “জয়কেও যদি এখন কুপিয়ে মেরে ফেলা হয়, হাসিনা বলবেন, ‘জয়ও ভেতরে ভেতরে হয়ত নাস্তিক ছিল। আমরা জানতাম না। নাস্তিক না হলে বা মুক্তমনা না হলে সন্ত্রাসীরা ওকে মারবে কেন?”

তসলিমার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলে:

“পুরো বিশ্ব জানে বাংলাদেশে নাস্তিকদের কুপিয়ে মারছে ইসলামী সন্ত্রাসীরা। এখন কোনো আস্তিককে মেরে ফেলা হলেও বলা হবে, ও ব্যাটা নির্ঘাত নাস্তিক ছিল। হাসিনার ছেলে জয়কেও যদি এখন কুপিয়ে মেরে ফেলা হয়, হাসিনা বলবেন, জয়ও ভেতরে ভেতরে হয়তো নাস্তিক ছিল। আমরা জানতাম না। নাস্তিক না হলে বা মুক্তমনা না হলে সন্ত্রাসীরা ওকে মারবে কেন।”

“সন্ত্রাসীদের বিচারের প্রতি আস্থা দেশের প্রধানমন্ত্রীরও আছে। আস্থা আছে বলেই প্রধানমন্ত্রী খুনীদের শাস্তি দেওয়ার পক্ষে নন। তিনি বরং মুক্তমনাদের উপদেশ দিচ্ছেন মনকে মুক্ত না করে বদ্ধ করতে। জটিল লেখালেখি বন্ধ করতে।”

“হত্যাকারীদের, আক্রমণকারীদের, ঘৃণাকারীদের বিচারের ওপর মানুষের আস্থা অসম্ভব বেশি। তাদের বিচার আর আদালতের বিচারের মধ্যে মানুষ পার্থক্য দেখে না। ‘ওকে যখন খুন করা হয়েছে, খুনের পেছনে নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে। কারণ না থাকলে ওরা খুন করবে কেন!’ এ কথা প্রধানমন্ত্রীও যেমন বলেন, আমজনতাও বলেন। ইসলামী সন্ত্রাসীরা নাস্তিক খুন শুরু করার পর থেকে নাস্তিকদের যত-না অপরাধী ভাবতো মানুষ, তার চেয়ে বেশি অপরাধী ভাবছে। নাস্তিকরা খুন হওয়ার মতো অপরাধ করে বলেই ধারণা জন্মেছে।”

‘‘সন্ত্রাসী আর খুনিদের প্রতি মানুষের আস্থা এবং বিশ্বাস দিন দিন বাড়ছে, আর ভিকটিমদের প্রতি মানুষের ঘৃণা এবং অবিশ্বাসও দিন দিন বাড়ছে। সন্ত্রাসী আর খুনির প্রতি যে বিশ্বাস মানুষের, তা অনেকটা ঈশ্বরে বিশ্বাসের মতো। ঈশ্বর যেমন কোনো ভুল করতে পারেন না, মানুষ মনে করে খুনিরাও কোনো ভুল করতে পারে না। ঈশ্বর যেমন কোন মানুষ কী করছে, কার মনে কী— সব জানেন, খুনিরাও জানে সব, খুনিরা জানে কে ভেতরে ভেতরে আস্তিক, কে নাস্তিক। ঈশ্বর যেমন শাস্তি দেন মানুষকে, কর্মফল দেন, খুনি সন্ত্রাসীরাও তাই করে। সন্ত্রাসীদের মানুষ ভয় পায়, ঈশ্বরকে যেমন ভয় পায়।’’

বাংলা৭১নিউজ/এসএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com