মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
বিমসটেক সম্মেলনে মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে ড. ইউনূসের দক্ষিণ সিটিতেও নাগরিক সনদ দেবেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা ‘থ্রি ইডিয়টসের’ বাস্তব ফুংসুখ ওয়াংড়ুকে আটক করলো পুলিশ মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত দেশে যত অন্যায় হয়েছে তার ৯০ ভাগ করেছেন শেখ হাসিনা: কাদের সিদ্দিকী জ্যোতি জাহাজে অগ্নিকাণ্ড : ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন অক্টোবরে ঘূর্ণিঝড়-বন্যার শঙ্কা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ টিআইবির বিবৃতি প্রসঙ্গে যা বলল হেফাজতে ইসলাম পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে ইইউ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দুদকের বৈঠক ইসরায়েলকে থামাতে যে পদক্ষেপের পরামর্শ দিলেন এরদোয়ান পুলিশ দেখে সিএনজি থেকে যাত্রীর চিৎকার, ধরা পড়ল তিন ছিনতাইকারী জয়-পুতুল-ববির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ ডিএমপির পাঁচ ডিসিকে বদলি-পদায়ন ডেঙ্গুরোগী বেশি দক্ষিণ সিটিতে, ঢাকার বাইরে শীর্ষে চট্টগ্রাম আরও ৩০ মেডিকেল ডিসপেনসারি উদ্বোধন সেনাপ্রধানের মহানবি (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তিকারী যুবক গ্রেপ্তার থাইল্যান্ডে বাসে আগুন লেগে ২২ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর শঙ্কা সাবেক হুইপ মাহবুব আরা গিনি তিন দিনের রিমান্ডে সাবেক এমপি নাজিমকে হত্যার চেষ্টা : ৫ দিনের রিমান্ডে জ্যাকব

জোয়ারে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পানিবন্দি বাগেরহাটের সহস্রাধিক পরিবার

বাগেরহাট প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় বুধবার, ২ আগস্ট, ২০২৩
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

পূর্ণিমার জোয়ারে বাগেরহাটের ভৈরব, পানগুছি, পশুর, দড়াটানাসহ বিভিন্ন নদী ও খালের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বিভিন্ন এলাকার অন্তত সহস্রাধিক বাড়িঘরে পানি উঠেছে।

বুধবার (২ আগস্ট) দুপুরে জোয়ারে হঠাৎ করে নদী-খালের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

দুপুরে হাড়িখালি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ভৈরব নদীর তীরে থাকা হাড়িখালি ও মাঝিডাঙ্গা এলাকার অন্তত ২০টি বসতঘর প্লাবিত হয়েছে। কারও কারও ঘরের মধ্যেও পানি উঠে গেছে। ছাগল ও গবাদি পশু ঘরের খাটের ওপর রেখেছেন তারা। পানি ওঠায় রান্নাবান্না বন্ধ রয়েছে কয়েকজনের।

বাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানিতে মাঝিডাঙ্গা সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকার কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে। শুধু হাড়িখালি-মাঝিডাঙ্গা নয়, বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর, কলাবাড়িয়া, পানিঘাটসহ বেশকিছু এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

অন্যদিকে, পানগুছি নদীর পানিতে মোরেলগঞ্জ উপজেলা সদরের প্রধান বাজার, পৌরসভার একাংশ, উপজেলা পরিষদ চত্বর প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া মোরেলগঞ্জ উপজেলার খাউলিয়া, বহরবুনিয়া, পঞ্চকরণ, তেলিগাতি, হোগলাবুনিয়া ইউনিয়নের বেশকিছু এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

হাড়িখালি এলাকার আফছার আলী হাওলাদার বলেন, বেরিবাঁধ নেই, ঘর-দুয়ার সব তলাইয়া গেছে। ঘরে যাওয়া লাগে কাছা দিয়া। রান্নাবান্না সব বন্ধ। আমাদের দিকে কেউ খেয়াল করে না।

একই এলাকার মনির শেখ বলেন, আষাঢ়-শ্রাবণ মাস আসলে খুবই কষ্টে থাকতে হয়। মাঝে মাঝেই পানি উঠে যায়। ভৈরবের পাশে যদি একটি বাঁধ দেওয়া থাকত, তাহলে আমরা কিছুটা শান্তিতে থাকতে পারতাম।

মোরেলগঞ্জ উপজেলা সদরের বুলি কাজী বলেন, জোয়ারের পানিতে মোরেলগঞ্জ বাজার, উপজেলা চত্বরসহ পৌর শহরের বেশকিছু এলাকায় হঠাৎ পানি উঠে যায়। লোকজনের খুব ভোগান্তি হয়েছে। পানগুছি নদীর পাড়ে টেকসই শহর রক্ষা বাঁধ থাকলে আমাদের এই সমস্যায় পড়তে হতো না।

বহরবুনিয়া এলাকার রফিকুল ইসলাম বলেন, চারপাশে নদী-আর খালের মধ্যে আমাদের বহরবুনিয়া ইউনিয়ন। হঠাৎ করে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশকিছু পরিবার জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি থাকায়, পানি সহজে নামছে না। খাউলিয়া, পঞ্চকরণ, তেলিগাতি ও হোগলাবুনিয়া তেলিগাতি ইউনিয়নের বেশকিছু পরিবার পানিবন্দি আছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহিতুর রহমান পল্টন বলেন, আমার ইউনিয়নের মাঝিডাঙ্গা এলাকায় প্রায় শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়েছে। স্থায়ী সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

বহরবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তালুকদার মো. রিপন বলেন, জোয়ারের পানিতে ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আমরা পানিবন্দি পরিবারের খোঁজ-খবর নিচ্ছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে যদি পানি না নামে তাহলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাগেরহাট মোড়েলগঞ্জ উপজেলার তেলিগাতী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোরশেদা খানম বলেন, পূর্ণিমার জোয়ারের পানিতে আমার ইউনিয়নে প্রায় দেড় শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পানি না নামলে এখানকার মানুষের অনেক সমস্যা হবে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনিও কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, দুপুরের জোয়ারে স্বাভাবিকের থেকে দেড় ফুটের বেশি পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের যে বাঁধ রয়েছে সেগুলো এখনো ঝুঁকিমুক্ত। তবে বাঁধ না থাকা কিছু এলাকায় পানি ওঠার খবর পেয়েছি।

বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, পানিতে যাতে কারও কোনো অসুবিধা না হয় সেজন্য খোজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com