বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: বিএনপি ও ২০-দলীয় জোটকে আগামী সংসদ নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই চট্টগ্রামে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে হামলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
রোববার জাতীয় পার্টির কাজী জাফর অংশের ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়ে খালেদা জিয়া এই মন্তব্য করেন।
চট্টগ্রামে হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমি জানতে চাই মহাসচিবরে ওপর এই হামলাটা হলো, তার পরে কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে? অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে এবং শাস্তি দিতে হবে। আমাদের লোকজন কিছু না করলেও… ধরে নিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের ধরতে হবে, তাদের শাস্তি দিতে হবে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। এই ভয়ে আওয়ামী লীগ ভীত হয়ে গেছে। সে সেই জন্য বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে, ২০-দলীয় জোট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে, আওয়ামী লীগের কোনো ভবিষ্যৎ নাই। সে জন্য আওয়ামী লীগ জেনেশুনেই যাতে এ রকম করে বিএনপি এবং ২০-দলীয় জোটকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে পারে, সেই জন্যই তারা এই শয়তানি… বিভিন্ন জায়গায় করছে।’
সংগঠনের চেয়ারম্যান ড. টি আই এম ফজলে রাব্বি চৌধুরীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, এনডিপি চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তজা, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি অধ্যাপিকা রেহানা, এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, সংগঠনের মহাসচিব মোস্তফা জামান হায়দার, ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া প্রমুখ।
এর আগে রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার ইছাখালী এলাকায় মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধিদলের গাড়িবহরে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
এতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রুহুল আলম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীমসহ ছয় জন আহত হন। শামীম মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন। বিএনপি নেতারা পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ দিতে রাঙামাটি যাচ্ছিলেন।
পরে হামলার শিকার হওয়ার পর তারা চট্টগ্রামে ফিরে যান। সেখানে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস