বাংলা৭১নিউজ,(ভৈরব)প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের সেই জেলার সোহেল রানা বিশ্বাস, তার স্ত্রী, সন্তান ও শ্যালকের ২৬টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। এসব ব্যাংক হিসাবে ১৫ কোটি টাকা জমা আছে বলে জানিয়েছ দুদক।
চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও যশোরে বিভিন্ন ব্যাংকের শাখায় এসব হিসাব রয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা ময়মনসিংহ দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সূত্রধর।
তিনি বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে আরও ৪৮ জনের সম্পৃক্তা পাওয়া গেছে। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছি মাত্র কয়েকদিন হল। মামলাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। চার্জশিট দিতে আরও দু’মাস সময় লাগতে পারে।
দুদক অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন আগে এ ঘটনায় করা এই মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং পরে দায়িত্ব দেওয়া হয় উপ-পরিচালক ফারুক আহমেদকে।
সূত্রে আরো জানা গেছে, জব্দ করা ২৬টি ব্যাংক হিসাবে ১৫ কোটি টাকা লেনদেনের সন্ধান পেয়েছে দুদক। তবে সঠিক হিসাব পেতে দুদকের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ১২টি ব্যাংকের হিসাববিবরণী তদন্তকারী কর্মকর্তার হাতে পৌঁছেছে বলে জানান মামলার বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ অক্টোবর ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, আড়াই কোটি টাকার ব্যাংক এফডিআর, এক কোটি ৩০ লাখ টাকার বিভিন্ন ব্যাংকের চেক ও ১২ বোতল ফেনসিডিলসহ ভৈরব রেলওয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন চট্টগ্রাম কারাগারের জেলার সোহেল রানা বিশ্বাস। ওই দিন চট্টগ্রাম থেকে আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে ময়মনসিংহে যাওয়ার পথে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন বিরতির সময় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি। সে সময় টাকার উৎস জানাতে না পারায় তার বিরুদ্ধে ভৈরব রেলওয়ে থানায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করে।
এর মধ্যে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলাটি রেলওয়ে পুলিশ তদন্ত করে ইতোমধ্যে কিশোরগঞ্জ আদালতে তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে। অন্যদিকে মানি লন্ডারিং আইনে দায়ের করা মামলাটি তদন্তের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ময়মনসিংহ দুদকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গত আট মাস ধরে এ মামলাটির তদন্ত চলছে।
এদিকে এ ঘটনার পরপর জেলার সোহেলকে সাময়িক বরখাস্ত করে এবং পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ। তার কাছ থেকে জব্দ করা ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা কিশোরগঞ্জের সরকারি ট্রেজারিতে জমা দিয়েছে রেলওয়ে পুলিশ।
বাংলা৭১নিউজ/এস আর