জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নারীদের অংশগ্রহণকে স্মরণ করতে তিন দিনব্যাপী চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। ‘জুলাই ম্যাসাকার আর্কাইভ’ নামের একটি গবেষণামূলক সংগঠনের আয়োজনে ‘আ জার্নি থ্রো জুলাই’ শীর্ষক প্রদর্শনীটি আজ শুরু হয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে।
প্রদর্শনীটি শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পান্থপথে অবস্থিত দৃক্ গ্যালারিতে শুরু হবে। বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এই প্রদর্শনীটি।
আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘আ জার্নি থ্রো জুলাই’ শীর্ষক প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে জুলাই অভ্যুত্থানে নারীদের অংশগ্রহণের বিভিন্ন স্থিরচিত্র। কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে স্বৈরাচার পতনের এক দফা আন্দোলনে রূপান্তরের বিষয়টি মাথায় রেখে প্রদর্শনীটি সাজানো হয়েছে। এছাড়াও জুলাই আন্দোলন চলাকালে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সংবাদমাধ্যমগুলো কেমন সংবাদ প্রচার করেছে তার একটি সংক্ষিপ্ত গবেষণাও দেখানো হবে এই আয়োজনে।
আয়োজকরা আরও জানান, প্রদর্শনীটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো- পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের আন্দোলনের সঙ্গে বাংলাদেশের জুলাই অভ্যুত্থানের সাদৃশ্য নিয়ে আয়োজন। আন্দোলনের সময় পুলিশি নিপীড়ন থেকে শুরু করে স্বৈরাচারের ব্যাপারে মানুষের ক্ষোভ প্রকাশের বৈশ্বিক ভাষা যে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে, তা পাশাপাশি ছবি রাখার মাধ্যমে উপস্থাপন করা হবে। এতে করে পৃথিবীর মুক্তিকামী মানুষের চিন্তার জগতের সদৃশতা বুঝতে সহায়ক হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে আয়োজকরা।
‘আলোর ভোর’ ফাউন্ডেশন ও গবেষণা সংস্থা ‘পিঁপড়া’-র সহায়তায় ‘জুলাই ম্যাসাকার আর্কাইভ’ এর ছবি প্রদর্শনীটি তিনদিন দৃক গ্যালারিতে সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ভবিষ্যতেও জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে বিভিন্ন আয়োজন করার পরিকল্পনার রয়েছে বলে জানান আয়োজকরা।
জুলাই অভ্যুত্থান বিষয়ক সেলের সেল সম্পাদক এবং জুলাই আররাকাইভের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য হাসান ইনাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা হাসিনার পালানোর পর থেকেই জুলাই আর্কাইভের কাজ শুরু করি। তখন থেকেই বিভিন্ন ছবি, ভিডিও, শহীদদের জীবনী সংগ্রহের কাজ করতে থাকি। আমরা ধীরে ধীরে এটার প্রদর্শনী শুরু করছি। JulyMesacreArchive.org নামের একটি ওয়েবসাইট ইতিমধ্যে বানানো হয়েছে।
আমরা শিগগিরই সেখানে সবকিছু আপলোড শুরু করবো। আজকের এই প্রদর্শনীটি আমাদের প্রথম প্রদর্শনী। এর আগে আমরা ১০ মিনিটের একটি ডকুমেন্টারি বানিয়েছিলাম যা সারাদেশে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করেছিলো। আমাদের এই প্রদর্শনী আয়োজনের জন্য আলোর ভোর ফাউন্ডেশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ