বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: জাতীয় বাজেট ঘোষণার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, চেয়েছিলাম এবারের বাজেট মানুষের জীবন যাত্রার ব্যয় কমাতে না পারলেও যেন বাড়িয়ে না দেয়। দেশের শিল্পখাত, কৃষিখাতসহ বিভিন্ন খাতের উৎপাদন ব্যয় যাতে বেড়ে না যায়। দুটোর একটিও এ বাজেটে রক্ষিত হয়নি।
যারা বেআইনিভাবে টাকা আয় করেছে, তাদেরকে ধরার জন্য কোন উদ্যোগ নেই। আগামী বছর জীবন যাত্রার ব্যয় এবং মূল্যস্ফিতি বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েই গেল। সিপিডির কার্যালয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় সিপিডির অন্যান্য কর্মকর্তা ও বিশ্লেষকরা উপস্থিত ছিলেন।
নতুন আইনের আঙ্গিকে বাজেটের অনুমিত বিষয়গুলো স্পষ্ট করায় অর্থমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, যে অনুমানগুলো তিনি (অর্থমন্ত্রী) ওখানে বলেছেন তার অন্তত তিন-চারটা আমাদের কাছে মনে হয়েছে বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
যেমন- অর্থমন্ত্রী মনে করছেন রেমিটেন্স আয় গত বছরগুলোর মতো ভাল থাকবে, এর মধ্যে রেমিটেন্স আয় যে কমে যাচ্ছে সে বিষয়টি সেখানে বিবেচনায় আসেনি।
তিনি বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় অনুযোগ এবং আমরা বার বার বলেছি যে প্রবৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু একমাত্র বিষয় নয়। অনুমানের ভিতরে অবশ্যই আমাদের কর্মসংস্থানের বিষয়টি আনতে হবে। কত পরিমাণ মানুষ এই বাজারে ঢুকছে সেটা অর্থমন্ত্রী এক জায়গায় বলেছেন। কিন্তু তার অনুমানের ভিত্তি কি, কত বেকারত্ব কমবে বা কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে এই ধারণাওটিও ওখানে থাকা দরকার ছিল।
এত উচ্চ প্রবৃদ্ধি থাকা সত্ত্বেও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে আশানুরুপ পরিস্থিতি নেই। ড. দেবপ্রিয় বলেন, আমরা ধারাবাহিকভাবে বলে এসেছি যে বাজেটের আর্থিক কাঠামো শক্তিশালী করতে হবে। কারণ বাজেটের সাথে প্রায়ই এমন সব প্রাক্কলন করা হয় যার সাথে বাস্তবতার কোন মিল থাকে না।
এবারও আপনারা লক্ষ্য করে দেখবেন, মোট সরকারি ব্যয় মোট ২৬ শতাংশ বাড়বে। অর্থাৎ সরকারের ব্যয় চারভাগের এক ভাগ বেড়ে যাবে আগামী এক বছরে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস