গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেছেন, বিবিসি বাংলাতে নিউজ হয়েছে, জি এম কাদেরের আসনে তাঁর অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী একজন তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি। তাঁর বিরুদ্ধে আর কোনো শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। এটা কি জি এম কাদেরের জন্য লজ্জা নয়? ক্ষমতার অংশীদার হতে জি এম কাদের লাজলজ্জার মাথা খেয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টায় গণসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে নাইটিংগেল মোড় থেকে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ শুরু করে গণঅধিকার পরিষদ।
পরে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে সংক্ষিপ্ত পথসভায় এসব কথা বলেন রাশেদ খান।রাশেদ খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমি ও ডামির নির্বাচন করছে। এই নির্বাচন ৬২টি রাজনৈতিক দল বর্জন করেছে। জনগণও ভোটকেন্দ্রে যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কিন্তু জনগণকে ভয় দেখিয়ে ভোটকেন্দ্র নেওয়ার জন্য আওয়ামী ভয় দেখাচ্ছে, এনআইডি কার্ড ও ভাতা সুবিধা বাতিলের হুমকি দিচ্ছে।’তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলবিহীন ডামি নির্বাচন দেশ-বিদেশের কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। ইতিমধ্যে আমেরিকার প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে এসেছে। তাদের পক্ষ থেকে আগেই বলা হয়েছিল সংলাপ, সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে; কিন্তু সেটি করা হয়নি।
বরং জাতীয় পার্টিকে ২৬টি আসন ছাড় দিয়ে নির্বাচনে নিয়েছে। গতকাল জি এম কাদের বলেছেন, তাদের কোনো আসন ছাড় দেওয়া হয়নি। কিন্তু আসন ছাড়ের বক্তব্য স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন। তাহলে কে সত্য, কে মিথ্যা? প্রধানমন্ত্রী কি তাহলে মিথ্যা বলেছেন?’আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য, এটা ১৪ কিংবা ১৮ সাল নয় উল্লেখ করে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এই নির্বাচন হতে যাচ্ছে ২০২৪ সালে। এখনকার জনগণ অত্যন্ত সচেতন।
আমাদের উন্নয়ন সহযোগী, বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রগুলোও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশে একতরফা নির্বাচন হওয়ায়, সেখানকার শতাধিক এমপির ওপর নিষেধাজ্ঞা এসেছে। বাংলাদেশে একতরফা ডামি নির্বাচন হলে এখানেও ৩০০ এমপির ওপর নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।’রাশেদ বলেন, ‘এমপি-মন্ত্রীদের ছেলেমেয়েরা বিদেশে পড়াশোনা করে, অনেকের ব্যবসা-বাণিজ্য রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা এলে পড়াশোনা ও ব্যবসা-বাণিজ্য সব বন্ধ হয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ যে নিষেধাজ্ঞা ও দুর্ভিক্ষের গল্প শোনাচ্ছে। মার্কিন সরকার কর্তৃক অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও গার্মেন্টসের ওপর নিষেধাজ্ঞা এলে, তার মূল ভুক্তভোগী হবে দেশের জনগণ।
সুতরাং সরকারকে বলব, দেশ ও জনগণের প্রতি ন্যূনতম ভালোবাসা থাকলে, একতরফা নির্বাচন থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিন। এখনো সময় আছে, বিরোধী দলগুলোকে ডাকুন, বসুন, আলোচনা করুন। একটা নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করুন। আমরাও ভোটকেন্দ্র যেতে চাই, নির্বাচন করতে চাই, ভোট দিতে চাই। অন্যথায় একতরফা নির্বাচনের পরিণতি ভালো হবে না।’
গণঅধিকার পরিষদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিলের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিল উজ্জামান, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সম্রাট, উপস্থিত ছিলেন উচ্চতর পরিষদের সদস্য জসিম উদ্দিন আকাশ, ক্রীড়া সম্পাদক ইলিয়াস মিয়া, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব, যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসানসহ দলের নেতাকর্মীরা।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ