ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের দক্ষিণ শোল্লা গ্রামে ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি হামেদা বেগমকে (৪৫) হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার মেয়ে জামাই শাওন মোল্লার (২৬) বিরুদ্ধে। নিহত হামেদা ওই গ্রামের মইফল ইসলামের স্ত্রী। রবিবার (৮ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত শাওন একই ইউনিয়নের উলাইল গ্রামের কাদের মোল্লার ছেলে। ঘটনার পর শাওনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী।
জানা যায়, একবছর আগে মইফল ইসলামের মেয়ে তানিয়া আক্তারের সঙ্গে শাওনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা চলছিল।
নিহতের মেয়ে কনা আক্তার বলেন, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই আমার বোন তানিয়াকে অকারণে টাকার জন্য মারধর করতেন শাওন। ইজিবাইক কিনে দেওয়ার জন্য ইদানিং আমার বোনকে চাপ প্রয়োগ করতেন। এসব বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য চলছিল তাদের মধ্যে। বিষয়টি নিয়ে ঈদের পরপর গ্রাম্য সালিসে দুজনের মধ্যে তালাকের সিদ্ধান্ত হয় এবং তা কার্যকর হয়।
রবিবার সকালে অতর্কিতভাবে আমাদের বাড়িতে আসে শাওন। এসেই গালিগালাজ করে ছুরি দিয়ে আঘাত করতে শুরু করে তানিয়াকে। এমন অবস্থা দেখে মা ও আমার ভাইসহ আমরা ফেরাতে এলে আমাদেরও ছুরি দিয়ে এলোপাথারি কোপাতে থাকে। আমাদের চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে শাওনকে ধরে ফেলে।
গুরুত্বর আহত অবস্থায় মা, আমার বোন তানিয়া ও ভাইকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় মায়ের। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বোন ও ভাইকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় শাওনকে আটক করে। এ ঘটনায় নবাবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।