জাতীয় পার্টিতে রওশন-কাদের দ্বন্দ্বের সময় দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদের বিরোধী নেতা রওশন এরশাদের পক্ষে অবস্থান নেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মসিউর রহমান রাঙা। ফলে গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর মসিউরকে দলের সব পদ থেকে অব্যাহতি দেন চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।
এরপর থেকে রওশন এরশাদের বলয়ের নেতা হিসেবে পরিচিত পান রাঙা। একাধিক অনুষ্ঠানে রওশন এরশাদের সঙ্গে দেখা যায় তাকে। সেই রওশন এরশাদ আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন নিজের ও ছেলে সাদ এরশাদ এবং ময়মনসিংহ বিভাগের জাপার নেতা ডা. কে আর ইসলাম জন্য।
জাপায় দুই কূল (জিএম কাদের ও রওশন এরশাদ) হারিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন রংপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙা।
এদিকে শনিবার (২৫ নভেম্বর) রওশন এরশাদের মনোনয়ন তালিকায় তিন জনের মধ্যে নিজের নাম না দেখে হতাশ হন রাঙা।
জানা গেছে, রওশন এরশাদপন্থী আরও কয়েকজন নেতার সঙ্গে বৈঠক করেও এ নিয়ে কাঙ্ক্ষিত কোনো ফলাফল পাননি তিনি। যার কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রস্তুতি নিচ্ছেন রাঙা।
তিনি বলেন, আমি তিনবারের সংসদ সদস্য ছিলাম। এবারও নির্বাচন করবো।
জাতীয় পার্টির পক্ষে থেকে আপনাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। রওশন এরশাদ যাদের নাম দিয়েছেন সেখানেও আপনার নাম নেই এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙা বলেন, আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবো।
রওশন পন্থী নেতারা তো আজকে বৈঠক করলেন, সেখানে কি হলো জানতে চাইলে সংসদের বিরোধী দলীয় হুইপ বলেন, যাদের ক্ষমতা আছে তারা নির্বাচন করবে, আরকি।
প্রসঙ্গত, গত বছর ৩১ আগস্ট জিএম কাদেরকে বাদ দিয়ে জাতীয় পার্টির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করেন রওশন এরশাদ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতার পদ থেকে রওশন এরশাদকে সরিয়ে নিজেকে বিরোধী দলীয় নেতা করতে স্পীকারকে চিঠি দেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
সেই চিঠিতে নিজের স্বাক্ষর প্রসঙ্গে রাঙা বলেছিলেন- তিনি কোনো চিঠিতে স্বাক্ষর করেনি। তার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। সেটা পরে রওশন এরশাদকে সংসদের বিরোধী নেতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার চিঠিতে ব্যবহার করা হয়েছে। এরপর রাঙাকেও বহিষ্কার করা হয়। পরে রাঙা রওশন এরশাদ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিতে যোগ দেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ