জাপানের দক্ষিণাঞ্চলে ফের আঘাত হানা আরও শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবারের ভূমিকম্পে দেশটিতে নয়জন নিহত হয়। এ নিয়ে মোট ১৬ জন নিহত হলো। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আজ শনিবার ভোরের দিকে কিউশু দ্বীপে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ভূমিকম্পের পর জারি করা হয় সুনামি সতর্কতা। পরে তা তুলে নেওয়া হয়। নতুন ভূমিকম্পে বেশ কয়েকজন আহত হয়।
জাপানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম এনএইচকে জানায়, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে একই অঞ্চলে আঘাত হানে ৬ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প। ২০১১ সালের পর এটিই ছিল দেশটিতে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প।
স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা জানান, সকালের দিকে কিউশু দ্বীপ এলাকায় একটি আগ্নেয়গিরি থেকে লাভা নির্গত হয়। তবে তা ভূমিকম্পের কারণে হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত নয়।
কুমামোতো এলাকার প্রশাসনিক কর্মকর্তা তাকাইউকি মাতসুশিতা পুলিশ ও অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর বরাত দিয়ে সাতজন নিহত হওয়ার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবারের ভূমিকম্পে বেশ কিছু দালানকোঠা ও রাস্তাঘাট বিধ্বস্ত হয়। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে আটকে পড়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। হতাহত ব্যক্তি ও চাপা পড়া লোকজনকে উদ্ধারে বৃহস্পতিবার রাত থেকে জোর তৎপরতা শুরু হয়। গতকাল শুক্রবারও তা চলেছে। আতঙ্কিত অনেকে দ্বিতীয় রাতের মতো এদিন খোলা আকাশের নিচে রাত কাটায়।
ভূমিকম্পে দ্রুতগতির একটি ট্রেনও লাইনচ্যুত হয়। ঐতিহাসিক কুমামোতো দুর্গের ছাদ ধসে পড়ে।
ভূমিকম্পে কিউশু দ্বীপের পারমাণবিক চুল্লির কোনো ক্ষতি হয়নি বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে।