প্রতিবছরের মতো এবারো যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে অস্থায়ী শহীদ বেদিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করেছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
বাংলাদেশে একুশের প্রথম প্রহরের সঙ্গে মিল রেখে নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় ২০ ফেব্রুয়ারি, দুপুর ১টা ১ মিনিটে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে আসেন শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি।
করোনা মহামারির মধ্যে এবার ভিন্ন আবহে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। নিউ ইয়র্ক সিটির স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাই পুষ্পাঞ্জলি প্রদানে অংশ নেন। নিউ ইয়র্কের বৈরি আবহাওয়াও তাতে বাধা হতে পারেনি। প্রতিবছরের মতো এবছরও উপস্থিত সর্বকনিষ্ঠ শিশু প্রথমে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে। এরপর বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ, রাজনৈতিক দল, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
মুক্তধারা ফাউন্ডেশন ও বাঙালির চেতনা মঞ্চ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এবার নিয়ে ৩০ বছর ধরে তাঁরা জাতিসংঘের সামনে শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠান করছেন।
এছাড়া এবার মুক্তধারা একুশে স্মরণে বিশেষ স্মারক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অন-লাইনে প্রচারিত এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মধ্যে থাকছে একুশের গানের রচিয়তা আবদুল গাফফার চৌধুরীর সঙ্গে নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিদের আলাপচারিতা, একুশ থেকে একাত্তর। আবদুল গাফফার চৌধুরী লন্ডন থেকে এই অনুষ্ঠানে যুক্ত থাকছেন।
হাসান ফেরদৌসের সঞ্চলনায় নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে থাকছে সুশনা চৌধুরী, চন্দ্রিমা দে ও নাফিউল বারী।
অনুষ্ঠানে আরো থাকবে টানা ১৯৯২ সাল থেকে গত ৩০ বছর মুক্তধারা ফাউন্ডেশন ও বাঙালির চেতনা মঞ্চ জাতিসংঘের সামনে একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনে যে আয়োজন করেছে তার ওপর ভিত্তি করে একটি প্রামাণ্যচিত্র।
আরো থাকবে ‘কৃষ্ণচূড়ার গান’ এর লেখক ও গায়ক তাজুল ইমামের সঙ্গে আলাপচারিতা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন সালমা বাণী। এ ছাড়া কবিতা পাঠসহ অন্যান্য আয়োজনও রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এমকে