শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মিন্টু মাঝি (৩৮) নামের এক যুবককে শাবল দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। এ সময় আরও দুজন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে সখিপুর থানার ডিএমখালী ইউনিয়নের হাওলাদার কান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মিন্টু মাঝি হাওলাদার কান্দি গ্রামের আমান উল্লাহ মাঝির ছেলে। আহতরা হলেন, মোল্লাকান্দি গ্রামের তাসলিমা বেগম (৪৮) ও রশিদ মাঝি (৩৫)। আহতদের ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মিন্টু মাঝির ৫৮ শতক জমি নিয়ে প্রতিপক্ষ সুমন হাওলাদারদের বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি ওই জমিতে বেড়া দেয় মিন্টু। রোববার সকালে সেই বেড়া ভাঙতে যায় সুমন হাওলাদার (৩৭), আরিফ হাওলাদারসহ (৪২) আরও ৮-১০ জন। এসময় মিন্টু ও তার পরিবার বাঁধা দিলে মিন্টুকে শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে।
পরে স্থানীয়রা তাকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃতু ঘোষণা করেন।
নিহত মিন্টু মাঝির ভাই রশিদ মাঝি বলেন, আমার ভাইকে সুমন হাওলাদাররা শাবল দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। ভাই হত্যার বিচার চাই।
সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান হাওলাদার বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মিন্টুকে শাবল দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় দেলোয়ার হাওলাদার (৫০), আবুল কালাম (৪৫) ও সুমনের মাকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/বিএফ