সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ইসলামী ব্যাংকের সচেতনতা বিষয়ক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত ‘দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই’ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ করতে চায় কানাডা কুমিল্লায় বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু দূতাবাসগুলোর কার্যক্রম তদারকির নির্দেশনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাস্থ্যসেবার আওতাধীন খাতে ইউজার ফি আদায়ে নীতিমালার সুপারিশ ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে সরকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সহজলভ্য উৎস খোঁজার তাগিদ প্রতিমন্ত্রীর বান্দরবানে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত সুইজারল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন স্পিকার জঙ্গিবাদ পুরোপুরি নির্মূল না হলেও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে: আইজিপি টেকসই উন্নয়নে সময়োপযোগী আর্থিক ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে ইশরাক ১৬ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে পালানোর সময় জনতার হাতে ধরা পুলিশ কর্মকর্তা কঙ্গোতে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা বাবাকে খুঁজে পেতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপির মেয়ে ডিবিতে কালশী ট্রাফিক বক্সে আগুন দিলো অটোরিকশাচালকরা কমলাপুর আইসিডি’র নিয়ন্ত্রণ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে নিতে সুপারিশ ভোট কম পড়ার বড় ফ্যাক্টর বিএনপি : ইসি আলমগীর অভিবাসী কর্মীদের টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করছে সরকার

জনির পরিবর্তে ৩ মাস জেলে নিরপরাধ সবুজ

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় রবিবার, ১২ মে, ২০১৯
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,(যশোর)প্রতিনিধি: যশোরে এবার হত্যা মামলার আসামি জনি শেখ (২৬) পরিবর্তে প্রায় তিন মাস ধরে কারাগারে বন্দি সবুজ বিশ্বাস (২৭) নামে এক যুবক। বাবার নামের সঙ্গে মিল থাকায় পুলিশ জনির পরিবর্তে সবুজকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। তবে পুলিশের এই ভুল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

কারণ যশোরে এমন ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগে স্বামীর নামে মিল থাকায় শিরিন বেগমের পরিবর্তে রেখা খাতুন নামে এক নারী ১৫ দিন জেল খেটেছে। পরে আদালতের নজরে আনলে তাকে মুক্তি দেয়া হয়।

এ বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি পুলিশ জনি শেখের পরিবর্তে সবুজ বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। সবুজের বাবা খায়রুল বিশ্বাস পুলিশের কাছে বারবার ধরনা দিয়েও প্রমাণ করতে পারেননি জনি শেখের পরিবর্তে তার ছেলের গ্রেফতারের বিষয়টি।

পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, ২০০৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর পুলেরহাট বাজার থেকে অপহরণের পর খুন হন বেড়বাড়ি গ্রামের মিঠু শেখ। এ ঘটনায় তার ভাই ইস্রাফিল শেখ কোতোয়ালি থানায় ৯ জনের নামে মামলা করেন। পরে ৮ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন তদন্ত কর্মকর্তা। এ মামলার ৫ নম্বর আসামি শহরের খোলাডাঙ্গা কদমতলা এলাকার খায়রুলের ছেলে জনি শেখ ঘটনার পর থেকেই পলাতক। পুলিশ সবুজ বিশ্বাসকেই জনি দাবি করে এবং তাকে গ্রেফতার করে। সবুজের বাবা বারবার চেষ্টা করেও পুলিশকে বোঝাতে না পেরে বৃহস্পতিবার বিষয়টির প্রতি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে সবুজের জামিন আবেদন করেন। ওইদিনই যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। একই সঙ্গে ২২ মে সবুজ বিশ্বাস ও মামলার বাদী ইস্রাফিল শেখসহ তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

সবুজের আইনজীবী মোস্তফা হুমায়ুন কবীর বলেন, সবুজ দুই মাসের বেশি কারাগারে আটক আছে। সবুজ যে জনি নয় তার প্রমাণ হিসেবে আদালতে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিয়েছি। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।

সবুজের বাবা খাইরুল বিশ্বাসের দাবি, আমার ছেলে পেশায় ড্রাইভার। সবুজ যে জনি নয় পুলিশকে তা কোনোভাবে বোঝাতে পারিনি। খোলাডাঙ্গা গ্রামে খাইরুল নামে আরও কয়েকজন আছে। তাদের ছেলেরাও আমার ছেলের বয়সী। আমার ছেলে সবুজ কোনো হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়।

এর আগে একটি মাদক মামলায় স্বামীর নামের সঙ্গে মিল থাকায় শিরিন বেগমের পরিবর্তে রেখা খাতুন নামে এক নারীকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে ১৫ দিন সাজা ভোগের পর মুক্তি পান রেখা খাতুন। ৪ এপ্রিল তাকে মুক্তি দেয়া হয়। ওই সময় যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম রব্বানি দাবি করেন, এটি পুলিশের অনিচ্ছাকৃত ভুল ছিল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনছার উদ্দিন বলেন, এলাকাবাসী ও বাদী নিশ্চিত করেছিল ‘সবুজ’ নামে যাকে আটক করা হয়েছে সে-ই জনি। এ বিষয়ে সবুজের পরিবারের লোকজন জোরালো কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি। এ জন্য হয়তো ভুল হতে পারে। পরে আদালত বিষয়টি আমলে নিয়েছেন। বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেছেন। আদালত চাইলে তাকে মুক্তি দিতে পারবেন। আমরাও তদন্ত করছি। আমরা চাই না কোনো মানুষ বিনা অপরাধে জেল খাটুক। এমন ঘটনা যেন না ঘটে সেই বিষয়েও সতর্ক করছি।

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি অপূর্ব হাসান বলেন, যখন পুলিশ কোনো আসামি গ্রেফতার করতে যায় তখন এলাকার লোকজনই শনাক্ত করে ‘উনিই সেই লোক’। অনেক সময় আসামিরা নাম পরিবর্তন করে। ডাক নামে চার্জশিট হয়। এই লোকের (জনি শেখ) ডাক নামও কিন্তু সবুজ। এলাকাবাসীও বলছে তার নাম সবুজ। অনেক সময় অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়ে যায়। পরে পুলিশের পক্ষে প্রমাণ করা কঠিন হয়ে যায়। আমাদের যারা তথ্য দেয়, তারা তো গোপনেই দেয়।

এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে- সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, আগের ঘটনাটি পুলিশের অনিচ্ছাকৃত ভুল ছিল। যদিও স্থানীয়রা শনাক্ত করেছিল সে-ই শিরিন। একই ব্যক্তির এক স্ত্রীর পরিবর্তে আরেক স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

বাংলা৭১নিউজ/এলএম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com