বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, জনগণ রুখে দাঁড়ালে কেউ আটকাতে পারে না।
তিনি বলেন, জনগণ জেগে উঠেছে। দেশ বাঁচাতে এই সরকারের পদত্যাগের কোনো বিকল্প নেই। সরকারের পদত্যাগই হলো সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের পূর্বশর্ত। এই পূর্বশর্ত পূরণ হলে আমাদের সব শর্তই পূরণ হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও মহাসচিবসহ দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ঢাকাস্থ ঠাকুরগাঁও জাতীয়তাবাদী ফোরাম এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
সংগঠনের সভাপতি সোহেল রানার সভাপতিত্বে বিএনপির নেতা আমিরুল ইসলাম খান আলিম, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, কাজী আবুল বাশার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এই সরকার যতক্ষণ ক্ষমতায় থাকবে ততক্ষণ পুলিশ বাধা, র্যাব বাধা ও প্রশাসনের সব লোক বাধা হয়ে থাকবে। আজকে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় নাই তো কালকে পুলিশও ভদ্র হয়ে যাবে, পুলিশ জনগণের পক্ষে থাকবে, পুলিশও ভোট কাটতে আর রাতের বেলায় কেন্দ্রে যাবে না। প্রশাসন তখন জনগণের খাদেম হিসেবে কাজ করবে।
তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিবসহ অন্যান্য নেতাদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে অন্যায়ভাবে আটক রাখা হয়েছে। আমরা শুধু আদালত বা বিচার বিভাগের সামনে একটা কথা বলতে চাই, আমরা জাস্টিস চাই। আমরা কোনো কৃপা চাই না, করুণা চাই না।
সাবেক এই উপমন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আদালতে জাস্টিস চেয়েছিলেন। তিনি ইনজাস্টিস পেয়েছেন, তিনি বিচার পাননি। আমাদের নেত্রী অবিচারের সম্মুখীন হয়ে আছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই ধরনের মামলায় খালেদা জিয়া বাদে এমন কোনো ব্যক্তি নেই-যারা জামিন লাভ করেননি।
দলের স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, হাজী সেলিম কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সেই আসামি জামিন পান। কিন্তু খালেদা জিয়া জামিন পান না। এটা চরম অবিচার। অনেকে আছেন- কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে মন্ত্রিত্ব করেছেন। সুতরাং কার কাছে বিচার চাইব? বিচার বিভাগ যদি নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা হতো, বিচারপতিরা যদি বলতে পারতেন আমরা স্বাধীন, তারা যদি বলতে পারতেন- আমাদের বিবেক স্বাধীন, তাহলে হয়তো আমরা ন্যায়বিচার পেতাম।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ