গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর দাবি করেছেন জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে সরকার বিভ্রান্তি তৈরি করতে নানা ধরনের ইস্যু তৈরি করে। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করা। আমরা যেন এই লক্ষ্য থেকে সরে না যাই। কারণ, এই সরকারের বৈশিষ্ট হচ্ছে, জনগণ যখনই তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়, তারা জনগণের দৃষ্টিকে প্রভাবিত করতে নানা ধরনের ইস্যু তৈরি করে।’
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার ১৪ দফার দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি ঘোষিত যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই সমাবেশের আয়োজন করে সাতটি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত জোট গণতন্ত্র মঞ্চ। সমাবেশে নুরুল হক নুর আরও বলেন, যারা দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন তারাও এমন রাষ্ট্র দেখতে চাননি। আজকে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে আওয়ামী লীগ যে প্রীতি নিতে চাচ্ছে, সেটা তারা নিজেরাই ধ্বংস করছে। আওয়ামী লীগের হাত থেকে আমাদের দেশ ও দেশের মানুষের মুক্তি ছিনিয়ে আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার আমাদের মধ্যেও বিভ্রান্ত সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। যাতে আমরা বিভিন্ন পক্ষ-বিপক্ষ করে আলাদা হয়ে যাই। আমাদেরকে বুঝতে হবে এটা তাদের চাল। এ চালে কোনোভাবেই পা দেওয়া যাবে না।
বিকল্প রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ও সরকার গঠনের উদ্দেশ্যে গণতন্ত্র মঞ্চের জন্ম হয়েছে জানিয়ে গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি ৩০ বছর ধরে যারা ক্ষমতায় ছিলেন, তাদের বিকল্প হিসেবে দেশ ও মানুষকে নতুন ধারার দিকে অগ্রসর করবে গণতন্ত্র মঞ্চ। এখন গণতন্ত্র মঞ্চকে আরও কীভাবে বিকশিত করা যায়, পাড়া-মহল্লা ও জেলা-উপজেলায় ছড়িয়ে দেওয়া যায়, সে রোডম্যাপ তৈরি করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা নাকি ২০২৪ সালের নির্বাচনের কথা বলেন। তার মানে কি ২০২৪ সাল পর্যন্ত সরকারকে বৈধতা দিতে চান? আমরা যদি পারি আগামী সপ্তাহে আন্দোলন করে পরের সপ্তাহে সরকারকে পদত্যাগ করাব। আমাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হচ্ছে আওয়ামী লীগকে আগামীকালই হটিয়ে দেওয়া। তাদেরকে বেশি সময় দেওয়া যাবে না। আমরা যদি দ্রুত আন্দোলনে যেতে না পারি, তবে জনগণের উৎসাহ আর উদ্দীপনা হারিয়ে যাবে। কারণ জনগণ সব সময় রাজপথে নামে না।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদউদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ