ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ১০ দিন আগে নিখোঁজ হওয়া সেই মেডিকেল অফিসার ডা. জাকির হোসেনকে গ্রেফতারের পর দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সিটিটিসির অতিরিক্ত উপকমিশনার আহমেদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গ্রেফতার ডা. জাকির হোসেন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাকে প্রথম গ্রেফতারের সময় তার নাম ইব্রাহিম বলে দাবি করেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন তার নাম ডা. জাকির হোসেন।
তিনি বলেন, জাকির হোসেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে পড়ালেখা করতেন। তিনি সেখানে পড়ালেখার সময় থেকেই নিষিদ্ধ আনসার আল ইসলামের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ওই সংগঠনেরই একটি ব্লগে লেখালেখি করতেন ডা. জাকির। নিষিদ্ধ আনসার আল ইসলামের ‘দাওরা’ নামে একটি কোর্স করতে ঢাকায় এসেছিলেন জাকির। এ কোর্সটি সাধারণত তিন-পাঁচ দিন হয়ে থাকে বলে জানান সিটিটিসির অতিরিক্ত উপকমিশনার আহমেদুল ইসলাম।
ডা. জাকির হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার কাছ থেকে আরও কিছু তথ্য পাওয়া যাবে।
এর আগে গত ৮ নভেম্বর ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে ডিউটি শেষ করে সহকর্মী ও উপজেলা স্বাস্থ্য এবং পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে মোবাইলে খুদে বার্তা পাঠিয়ে নিখোঁজ হন ডা. জাকির হোসেন। এর পর থেকেই তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে ভাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কিশোরগঞ্জ শহরের খরমপট্টি এলাকার মেডিক্স কোচিং সেন্টার থেকে জঙ্গি সম্পৃক্তায় ডা. মির্জা কাউসারকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। তিনি কিশোরগঞ্জের আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রভাষক ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ