রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কেশব রায় পাপন (২৪)। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মো. তুহিনকে (২০) গ্রেফতার করেছে র্যাব।
র্যাব বলছে, নিহত পাপনকে ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় খুন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) গ্রেফতারের পর তুহিন জানিয়েছে, ছিনতাই করতে গিয়েই খুন করা হয় পাপনকে। র্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মো. ফজলুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, গত ৫ অক্টোবর তেজগাঁওয়ের তেজতুরী বাজারে হোটেল মেরিনের সামনে রাত ৯টার দিকে কয়েকজন অস্ত্রধারী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পাপনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে পথচারীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত পাপনের মামা তেজগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় র্যাব এ বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
তুহিনের গ্রেফতার প্রসঙ্গে এএসপি ফজলুল হক বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার র্যাব-২ এর একটি দল জানতে পারে, ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত একজন গাজীপুর শহরে গোপনে অবস্থান করছে। সংবাদের সত্যতা যাচাই করে র্যাব-২ এর একটি দল গাজীপুর টঙ্গী মুন্নুনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তুহিনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তুহিন জানায়, তারা ছিনতাই করার জন্যই পাপনের ওপর হামলা করেছিল। পরে ছুরির আঘাতে তার মৃত্যু হয়। ছুরিকাঘাতের পরই পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
তুহিন নিজে এই হত্যায় অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। পরে তাকে তেজগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয় বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
বাংলা৭১নিউজ/এবি