রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ডের দুই বছর হচ্ছে আগামীকাল। তবে এখনো তদন্ত শেষ করতে পারেনি পুলিশ। অভিযোগপত্র জমা দেয়া তো পরের কথা। এদিকে, জামিনে বের হয়ে ওয়াহেদ ম্যানশনের দুই মালিক সংস্কার কাজ করছেন সেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া ভবনের। তবে এখনো বিচার ও ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় অনেক স্বজনের।
২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে দশটার দিকে ঘটেছিলো চুড়িহাট্টার ভয়াবহ অগ্নি দুর্ঘটনা। তবে সেদিন কীভাবে ঘটলো এই বিস্ফোরণ এবং এর দায় কার আজও সেটা অজানা। চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডির ২ বছর পরও এর উত্তর খুঁজছেন নিহতদের স্বজন ও পরিবারের সদস্যরা।
এই দুর্ঘটনায় স্বামী হারিয়েছেন ফাতিমা। তিনি বলেন, আমি মাত্রই চুড়িহাট্টা থেকে এসেছি। আমার সংসারে আমার স্বামী ছিলো একমাত্র আয়ের উৎস। এখন দুই মেয়ে নিয়ে আমি খুব কষ্টে সংসার চালাই। এখন পর্যন্ত আমি কোনো ক্ষতিপূরণ পাই নাই।
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, আমরা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ভবনটি বসবাস করার যোগ্য কি না তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দিয়েছিলাম। ওই প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে ওয়াহেদ ম্যানশন বসবাস করার উপযোগী। তবে ডিএসসিসির পক্ষ থেকে যে আলাদা কমিটি ওয়াহেদ ম্যানশন পরীক্ষা করার জন্য গঠন করা হয়েছে, তারা যদি পরিদর্শন শেষে ইতিবাচক তথ্য দেয় তাহলেই এই ভবনটিতে নতুন করে বসবাস করার উপযোগী বলে ঘোষণা করা হবে।
দুর্ঘটনার দুই বছর পেরোলেও এখনো শুধু প্রকল্পেই আটকে আছে পুরান ঢাকার রাসায়নিকের গুদাম সরানোর উদ্যোগ। চকবাজার, বাবুবাজারসহ পুরান ঢাকার ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকাগুলো আগের মতোই অগ্নি দুর্ঘটনার উচ্চ ঝুঁকিতে। এসব এলাকার আবাসিক ভবনের নিচে রাসায়নিকের রমরমা ব্যবসা চলে এখনো। প্রায়শই এসব কারখানায় ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। নিমতলীর অগ্নিকাণ্ডের নয় বছরের মাথায় ঘটে চুড়িহাট্টা ট্রাজেডি। তবে এখনো পুরান ঢাকা থেকে সরানো হয়নি রাসায়নিকের কারখানা ও গুদামগুলো।
কবে নাগাদ পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিকের কারখানা ও গুদামগুলো সরানো হবে এমন প্রশ্নে আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ক্যামিকেল গোডাউন সরানোর ব্যাপারে যাচাই বাছাইয়ের কাজ ৮০ শতাংশ এগিয়েছে। এর পরে মন্ত্রী পর্যায়ের মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কবে, কোথায় এটি সরানো হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এমকে