মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:০৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় জড়িত ১৫০০ জনকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প সুইজারল্যান্ডের পথে প্রধান উপদেষ্টা আমেরিকার সোনালি যুগের সূচনা হলো: প্রথম ভাষণে ট্রাম্প গর্ভবতী-সন্তানসহ নারীরাও গুমের শিকার হয়েছিলেন পার্বত্য এলাকার বহুমুখী পণ্যের প্রসারে সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন বাংলাবাজারে ৫ হাজার সরকারি বই জব্দ অলিগলিতে পদচারণা থাকতে হবে থানার ওসিদের : ডিএমপি কমিশনার শেষ মুহূর্তেও কয়েকজনকে ক্ষমা করলেন বাইডেন পল্লবীতে ‘ব্লেড বাবুকে’ কুপিয়ে হত্যা ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন আলী ইমাম মজুমদার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শুভ কামনা ড. ইউনূসের হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পকে স্বাগত জানালেন বাইডেন মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটা বাতিলের দাবিতে শহীদ মিনারে শিক্ষার্থীরা চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মহানবীকে অবমাননার দায়ে ইরানে পপ তারকার মৃত্যুদণ্ড সীমান্তে সাউন্ড গ্রেনেড-টিয়ারশেল ছোড়ার অনুমোদন পেল বিজিবি সিলেটকে ৬ রানে হারিয়ে ঢাকার দ্বিতীয় জয় মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় কাউকে হয়রানি করা যাবে না : জামায়াত আমির দ্য হিন্দুর চোখে খালেদা জিয়ার প্রত্যাবর্তন প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম দিনেই নির্বাহী আদেশের ঝড় তুলবেন ট্রাম্প

চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপলোড সময় সোমবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে চীনের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেছেন।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর আমন্ত্রণে তার দেশে যাচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিন দিনের সফর শেষে ২৪ জানুয়ারি পররাষ্ট্র উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টার এই সফরের মধ্যে দিয়ে ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কে নতুন মাত্রা যুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রতি বছরই পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে ভারতে যেতেন। প্রতিবেশীর সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্কের কারণে প্রথম সফর হিসেবে ভারতকেই বেছে নিতেন তারা। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এবার প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে চীনেই যাচ্ছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০ থেকে ২৪ জানুয়ারি চীন সফর করবেন মো. তৌহিদ হোসেন। সফরকালে ২১ জানুয়ারি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে করবেন তিনি। বেইজিং ছাড়াও সাংহাই সফর করবেন উপদেষ্টা।

এ সফরের বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, “চীন সফরে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক অনেক বিষয়ে আলোচনা হবে। সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক ইস্যুগুলো। আমাদের অনেক প্রকল্পে চীনের বিনিয়োগ আছে। বিনিয়োগ মূলত ঋণ আকারে। তার মধ্যে কিছু প্রকল্প চলমান। এছাড়া অর্থনৈতিক আলোচনাও আছে, যেমন: আমরা ঋণের শর্তাদি নিয়ে কথা বলব। এর মধ্যে আছে সুদহার কমানো বা ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানো।”

উপদেষ্টা বলেন, “এখনো চীন আমাদের অধিকাংশ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিচ্ছে। কিন্তু, এলডিসি থেকে গ্র্যাজুয়েশনের পরে এটা পরিবর্তন হতে পারে। তাই, এটি আমাদের আলোচনার মাধ্যমে আগেই ঠিক করে নিতে হবে। চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ হচ্ছে। এ উপলক্ষে দুই দেশেই কিছু উৎসব আছে। সেগুলো নিয়েও আমরা কথা বলব।”

সফরসূচি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, “২১ জানুয়ারি রাজধানী বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হবে। তারপর সাংহাইয়ে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে হবে। এর বাইরে বিদ্যুৎচালিত গাড়ির (ইভি) কারখানা এবং ফ্রুটস প্রিজারভেশনের দুটি শিল্পকারখানা আমাদের দেখানো হবে। তাদের নতুন এসব টেকনোলজি আমাদের দেশে কাজে আসতে পারে।”

আগামীকাল মঙ্গলবার হবে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। আলোচনায় গুরুত্ব পাবে অর্থনীতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ। 

সফরের আগে গতকাল রোববার পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন চীনের রাষ্ট্রদূত। 

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, “পররাষ্ট্র উপদেষ্টার চীন সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি। এর মধ্যে দিয়ে ঢাকা-বেইজিং বোঝাপড়া আরো বাড়বে। আমরা খোলা মন নিয়ে বাংলাদেশের সব প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করতে প্রস্তুত।”

বাংলাদেশকে ১৯৭৫ সালের ৩১ আগস্ট স্বীকৃতি দেয় চীন। সে অনুযায়ী চলতি বছর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করা হবে। এ উপলক্ষে উভয় পক্ষই নানা অনুষ্ঠান আয়োজনের কর্মসূচি নিয়েছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টার চীন সফরের সময়ে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীন অনেক আগে থেকেই মধ্যস্থতা করে আসছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের সঙ্গে চীন দূতিয়ালি করলেও এখনো পর্যন্ত কোনো সমাধান হয়নি। পররাষ্ট্র উপদেষ্টার এ সফরে রোহিঙ্গা ইস্যু প্রাধান্য পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে চীন থেকেই সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি করে থাকে বাংলাদেশ। চীন থেকে বাংলাদেশ প্রতি বছর গড়ে ২ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করে থাকে। বিপরীতে চীনে বাংলাদেশ রপ্তানি করে থাকে মাত্র ৬৭ কোটি ডলারের পণ্য।

চীনা বাজারে বাংলাদেশ ৯৮ শতাংশ শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়ে থাকে। এরপরও চীনে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি বাড়ছে না। সে কারণে বাণিজ্য ভারসাম্যও রক্ষা করা যাচ্ছে না। পররাষ্ট্র উপদেষ্টার চীন সফরে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ভারসাম্য বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা উঠবে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে চীন বিনিয়োগ করেছে, বিশেষ করে অবকাঠামো খাতে। বিভিন্ন প্রকল্পে সুদহার বিভিন্ন রকম। এই হার কমাতে চায় বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা চীন সফরে আলোচনায় সুদহার কমানোর বিষয়টি প্রাধান্য পাবে।  

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে নদী ও পানি ব্যবস্থাপনার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। সে সমঝোতা স্মারকের মেয়াদ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সফরে এই সমঝোতা স্মারক নবায়ন করা হবে। এছাড়া, বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে সহায়তা দিতে আগ্রহী চীন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সফরে বিষয়টি আলোচনায় উঠতে পারে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com