বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
অন্তর্বর্তী সরকারের উদারতা জাতিকে অনন্তকাল ভোগাবে : হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও দেশকে অস্থির করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে ভেতরে প্রবেশ করছেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা লামায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ড. ইউনূসের নিন্দা আগুনের সূত্রপাত কীভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি : ফায়ারের ডিজি সচিবালয়ের আগুন ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সড়কে পড়ে আছে ফায়ারকর্মী নয়নের হেলমেট ও তাজা রক্ত সচিবালয়ে আগুন: যে হুঁশিয়ারি দিলেন আসিফ মাহমুদ আগুন ৬ তলায় লেগে উপরে গেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সবাই একসঙ্গে শান্তিতে থাকতে চাই : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে থেকে পড়ে বিদ্যুতায়িত, দুই শ্রমিকের মৃত্যু ‘আমাদের একমাত্র লক্ষ্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা’ বাংলাদেশ সীমান্তে অতিরিক্ত বিএসএফ মোতায়েন সৌদিতে সড়কে প্রাণ গেল ময়মনসিংহের দুই যুবকের, পরিবারে শোকের মাতম বিএনপিকর্মী মকবুল হত্যা: সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর কারাগারে প্রশাসন নিরপেক্ষ করতে ‘স্বৈরাচারের দোসরদের’ অপসারণ করুন সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউল্লাহ শফিকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা বইমেলায় স্টলের জন্য আবেদন করা যাবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদকের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা

চিকিৎসকরা কি রোগীদের প্রয়োজনের বেশি ওষুধ দিচ্ছেন?

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী, ২০১৭
  • ১৬৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: ঢাকার একজন সাংবাদিক জাহিদ সোহাগ । বেশ কয়েক বছর আগে পিঠে ব্যথার জন্য ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তাকে ছয়টি ঔষধ দেন একজন ডাক্তার ।

এরপর আরও একজন ডাক্তার আরও এগারোটি ঔষধ যোগ করলে মোট সতেরটি ঔষধ খেতে হয় মি. সোহাগকে । প্রায় দুই মাস এই ঔষধগুলো খাওয়ার পরের কোন উন্নতি হচ্ছিল না।
শেষ পর্যন্ত দেশের বাইরে একজন ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে তিনি সবগুলো ঔষধ বাদ দিয়ে শুধু একটি ঔষধ খেতে বলেন । মি. সোহাগ বলছিলেন তার আগে এত বেশি ঔষধ প্রয়োগে তিনি মানসিক ভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন ।

“আপনি যখন দীর্ঘ সময় ঔষধ খাবেন এবং রোগের নিরাময় না ঘটবে তখন একধরনের ডিপ্রেশন কাজ করে, আমি হয়তো অসুস্থ হয়ে পড়লাম । আমি হয়তো আর সুস্থ জীবনে ফিরছি না এরকম একটা আশংকা মনের ভিতর তৈরি হয়” ।

মি. সোহাগের মতো এধরনের অজস্র উদাহরণ রয়েছে বাংলাদেশে । চিকিৎসা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সাময়িকী দ্য ল্যানসেট-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, পৃথিবীজুড়ে রোগীদের অপ্রয়োজনীয় এবং দামী ঔষধ দেবার প্রবণতা তৈরি হয়েছে। গবেষণাটিতে বলা হয়েছে, অনেক সময় কম খরচে রোগ নিরাময়ের উপায় থাকলেও রোগীদের উপর বাড়তি খরচ চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে।

ল্যানসেট জার্নালে যে গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে, বাংলাদেশেও সে চিত্র ব্যতিক্রম নয় ।

অভিযোগ রয়েছে ডাক্তাররা তাদের প্রেসক্রিপশনে দামী ঔষধ যেমন লিখছেন তেমনি বেশি ঔষধও লিখছেন ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঔষধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক মনে করেন, ঠিক ভাবে রোগ নির্ণয় করতে না পারার কারণে ডাক্তাররা ঔষধের প্রয়োগ করেন বেশি ।
তাছাড়া দামী ঔষধ হলেই যে তার মান ভালো হবে সেটিও মনে করেন না মি. ফারুক ।

চিকিৎসা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সাময়িকী দ্য ল্যানসেট-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, পৃথিবীজুড়ে রোগীদের অপ্রয়োজনীয় এবং দামী ঔষধ দেবার প্রবণতা তৈরি হয়েছে।

চিকিৎসা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সাময়িকী দ্য ল্যানসেট-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, পৃথিবীজুড়ে রোগীদের অপ্রয়োজনীয় এবং দামী ঔষধ দেবার প্রবণতা তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, “আমি বেশি দামের উন্নত মানের কাঁচামাল ব্যবহার করি তাহলে আমার কিছুটা খরচ অবশ্যই বেশি পড়বে । আর যে কিছুই মানে না তার দাম একটু কম হবে এটা স্বাভাবিক তবে সবসময় যে বেশি দামের ওষুধ বেশি মানসম্পন্ন এটি নাও হতে পারে । এমনও হতে পারে যে একটি কোম্পানি ফাঁকি দিয়ে বেশি টাকা নিচ্ছে । এবং এটি দেখার দায়িত্ব হবে

ঐ দেশের সরকারী যে অফিস যারা এগুলো দেখার দায়িত্বে আছেন তাদের।”

ঔষধের বেশি প্রয়োগের বিষয়টিতে ডাক্তারদের সবসময় কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয় । অনেক ডাক্তার বেশি ঔষধ দেওয়ার বিষয়টিকে অস্বীকার করেন । কিন্তু অনেকে আবার এই ধরনের প্রবণতার সমালোচনাও করেন ।

ডাক্তারদের মধ্যেই কেউ কেউ বলছেন – বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানি দামী ঔষধ এবং বেশি ঔষধ লেখার জন্য অনেক ডাক্তারকে বিভিন্ন ভাবে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করে ।

বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ উপাচার্য অধ্যাপক ডাক্তার রশিদ-ই -মাহবুব বলছেন, ঔষধের যে অপব্যবহার হয় সেটি অস্বীকার করার কোন উপাই নেই ।

অধ্যাপক মাহবুব বলেন, “প্রথম কথা হচ্ছে, কতগুলো রোগ আছে যেগুলোর জন্য সারা জীবনই ওষুধ খেতে হবে । যেমন আজকে ডায়াবেটিস কথা বলেন, হাইপার টেনশনের (প্রেশার) কথা বলেন তারপরে ক্যান্সারের কথা বলেন এগুলি কিন্তু সারা জীবনই খেতে হয় । কিন্তু বেশিরভাগই যেটা অ্যাবিউজড (অপব্যবহার) হয় সেটা হচ্ছে ভিটামিন এবং এন্টিবায়োটিক । একটা এন্টিবায়োটিক দিয়ে অনেক সময় অনেক চিকিৎসক ঠিক এনশিওর করতে পারে না। তখন তারা কয়েকটা এন্টিবায়োটিক লিখে দেয় । এটাই কিন্তু বেশি ওষুধের প্রবণতা তৈরি করে।”
বিশ্লেষকেরা বলছেন , রোগ নির্ণয় ব্যবস্থা নির্ভুল হলে বেশি ঔষধ প্রয়োগের প্রবণতা হয়তো কমে আসবে ।

তবে একই সাথে যেসব ডাক্তার বেশি ঔষধ প্রয়োগ করেন তাদেরও সচেতনতার পরিচয় দেওয়া দরকার বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন ।

বাংলা৭১নিউজ/তথ্যসূত্র: বিবিসি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com