ঈদ মানেই আনন্দ। আর, এ আনন্দ ভাগাভাগি করতে সবাই ছোটেন বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্রে। এবারের ঈদে থাকছে লম্বা ছুটি। ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের আনন্দ দিতে প্রস্তুত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বান্দরবান।
ছুটিতে বান্দরবান দেখতে ছুটে আসবেন পর্যটকেরা। হবে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়। মন্দা কাটিয়ে আবারও পাহাড়ের পর্যটন অর্থনীতি চাঙা হবে—এমনটাই আশা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বান্দরবান শহরের হোটেল-মোটেলগুলোতে বেশির ভাগ কক্ষ আগাম ভাড়া হয়ে গেছে, যার হার ৫৫-৬০ শতাংশ। তবে, ঈদের পরে বিশেষ করে ৫ ও ৬ মে—এ দুদিন পর্যটকেরা কক্ষ ভাড়া নিয়েছেন আগাম।
হোটেল হিলটনের ব্যবস্থাপক এস এম আক্কাস উদ্দীন বলেন, ‘পর্যটকদের আগমনকে কেন্দ্র করে রমজান মাসজুড়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি। হোটেলের রুমগুলো ভালোভাবে সাজানো হয়েছে। ঈদের পরের দিন থেকে পর্যটকের চাপ রয়েছে। এরই মধ্যে ৫-৬ তারিখ হোটেলের ৮০ শতাংশ কক্ষ আগাম ভাড়া হয়ে গেছে।’
পর্যটনকেন্দ্র নীলাচলের পথে ফানুস রিসোর্টের ব্যবস্থাপক বলেন, ‘পর্যটকদের জন্য আমাদের রিসোর্ট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রেখেছি। এর মধ্যে অনেকে কক্ষের জন্য আগাম বুকিং দিয়ে দিয়েছে। মনে হচ্ছে ছুটিতে এবার প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটবে।’
এদিকে, পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে যানবাহন, বিশেষ করে ভাড়া গাড়ির ব্যবসায়ী ও ট্যুর অপারেটররাও প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ফোরহুইলার গাড়ির মালিক ও চালকেরা জানিয়েছেন, জেলা ও উপজেলার তিন শতাধিক পর্যটক গাইড, দুই শতাধিক চাঁদের গাড়ির (ফোরহুইল গাড়ি) চালক অপেক্ষার প্রহর গুনছেন।
পর্যটন হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘করোনার কারণে দীর্ঘদিন পর্যটকেরা ভ্রমণ করতে পারেননি। ঈদে লম্বা ছুটি থাকার কারণে এখানে প্রচুর পর্যটক আসবেন। এখানে ৭০টি হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট রয়েছে। যার ধারণ ক্ষমতা পাঁচ হাজারের বেশি। এরই মধ্যে হোটেলগুলোতে ৪০-৫০ শতাংশ আগাম বুকিং হয়ে গেছে।’
বান্দরবানের ট্যুরিস্ট পুলিশ পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এখানে অনেক পর্যটকের সমাগম হবে। পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রত্যেক পর্যটনকেন্দ্রে ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ট্যুরিস্টদের যেকোনো প্রয়োজনে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ