বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: তথ্যফাঁস এবং হ্যাকিং যেন এক নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমান সময়ে। সাম্প্রতিককালের হিসাব অন্তত তেমনটাই ইঙ্গিত করছে।
দেখা যাচ্ছে, প্রতি বছরেই ক্রমান্নয়ে বাড়ছে তথ্যফাঁসের ঘটনা। যেমন- ২০১৮ সালের চেয়ে ২০১৯ সালে তথ্যফাঁসের পরিমাণ বেড়েছে ৫৪ শতাংশ। এরই মধ্যে নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০২০ সালে মোবাইলভিত্তিক ম্যালওয়্যার এবং ব্যাংকিং ট্রোজানের সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে।
শীর্ষস্থানীয় অ্যাকাউন্টিং ও কনসাল্টিং প্রতিষ্ঠান গ্র্যান্ট থর্নটনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ৫জি এবং ইন্টারনেট অফ থিংস-এর (আইওটি) পরিধি যেমন বাড়ছে, সঙ্গে বাড়ছে ডেটার গতিও আর সঙ্গে বাড়বে সাইবার হামলার গতি।
সম্প্রতি ‘সাইবার ট্রেন্ডস ইন ২০১৯ অ্যান্ড প্রেডিকশনস ফর ২০২০’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলার গতি এবং কার্যকরিতা বাড়াতে হ্যাকাররা উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক হামলা চালাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সাইবার হয়রানিসহ সাইবার নিরাপত্তার ঘটনা আগের বছরের তুলনায় ছয় গুণের চেয়েও বেশি বেড়েছে। আর অপরাধের ধরন শনাক্তকরণ এবং সাইবার অপরাধ কমানো ডেটা বিশ্লেষকদের জন্য আরও জটিল হবে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ৯৫ শতাংশ সাইবার নিরাপত্তা ভাঙবে মানুষের ভুলের কারণে। মানবকেন্দ্রিক নিরাপত্তা চিন্তার মূল কারণ এবং মানবকেন্দ্রিক সমাধানের পাশাপাশি প্রযুক্তিও দরকার। ধারণা মতে, ২০১৯ সালে তথ্যফাঁসের ঘটনা ঘটেছে ৪৩০ কোটি। এর মধ্যে ৩৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ ব্যক্তির মাধ্যমে তথ্যফাঁসের ঘটনা ঘটেছে।
বাংলা৭১নিউজ/সি এইস