বাংলা৭১নিউজ, নাজিম বকাউল, ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় পদ্মা নদীর তীব্র ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গত দু’দিনে তীব্র ভাঙনে বিলীন হয়েছে ১৭ বসতভিটে। এর আগের সপ্তাহে পদ্মা নদী গ্রাস করেছে আরও ২৫ বসতভিটে। এ নিয়ে গত দু’সপ্তাহে উপজেলা সদর ইউনিয়নের বালিয়া ডাঙ্গী গ্রাম ও ফাজেলখার ডাঙ্গী গ্রামের ৩০ বসতভিটে এবং গাজীরটেক ইউনিয়নের জয়দেব সরকার ডাঙ্গী গ্রামের ১২ বসতভিটে সহ মোট ৪২ বসতভিটে পদ্মার গর্ভে চলে গেছে। এসব ভাঙন কবলিত পরিবারের বেশীর ভাগ উপজেলার বিভিন্ন বেড়িবাঁধে এবং ফসলী মাঠের আশপাশে আশ্রয়ন গেড়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। বুধবার আ’লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন পৃথক পৃথক ভাঙন কবলিত পদ্মার পাড় এলাকা পরিদর্শন করেছেন। উক্ত প্রেসিডিয়াম জানান, “ উপজেলা পদ্মা নদীর ৩ হাজার ৯শ’ মিটার তীর সংরক্ষন বাঁধ নির্মানের জন্য ৩শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি পিপি থৈরী করা হয়েছে। একনেকের বৈঠকে পাশ হলেই ভাঙন রোধে কাজ শুরু হবে”।
উপজেলা সদরে ফাজেলখার ডাঙ্গী গ্রামের পদ্মার পাড় এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পদ্মা নদীর কড়াল ¯্রােতে একের পর এক বিলীন হয়ে যাচ্ছে নদী পাড়ের বসতভিটে। একই সাখে ভিটে বাড়ীর বাঁশঝাড় ও গাছপালা হারিয়ে যাচ্ছে পদ্মার গর্ভে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো নারী শিশু বৃদ্ধদের নিয়ে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে বসতঘর সরিয়ে নিতে ব্যাস্ত রয়েছেন। আর এ ফাঁকে বসত বাড়ীর বিভিন্ন ফলদ ও বনজ বৃক্ষরাজি গ্রাস করে চলেছে রাক্ষুসে পদ্মা নদী। উক্ত গ্রামের ভাঙন কবলিত আঃ রশিদ মোল্যা (৬৫) এ প্রতিবেদককে দেখে বলে ওঠেন, “ পিপারে কতই তো লেখলেন, কেউ তো আমাগো পদ্মাডারে বাইন্ধা দিলো না”।
গত দু’দিনে উপজেরার ভাঙন কবলিতরা হচ্ছেন-গাজিরটেক ইউপির জয়দেব সরকারের ডাঙ্গী গ্রামের ইলিয়াস শেখ, নিত্য সরকার, ছাত্তার,শেখ, আলাউদ্দিনমোল্যা, আব্দুর রহমান, ইমারত তালুকদার, শহীদ তালুকদার, কুলসুম বেগম, নিপেন সরকার, হায়াত আলী খন্দকার, সোনা মোল্যা ও রঞ্জিত সরকার। এছাড়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের বালিয়া ডাঙ্গী ও ফাজেলখার ডাঙ্গী গ্রামের ছালাম মোল্যা, হায়দার মোল্যা, বাহার মন্ডল, রাজ্জাক মোল্যা ও আত্তাব মোল্যার বসত ভিটে নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস