রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
আওয়ামী লীগ নয়, দেশ চালাচ্ছে অদৃশ্য শক্তি: মির্জা ফখরুল শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের ২৩ বছর পূর্তি উদযাপন ইসলামী ব্যাংকের বরিশাল জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিরোধীদের শেষ করে দিতে চান মোদী: কেজরিওয়াল কুয়েতে অবৈধভাবে প্রবেশের দায়ে পাঁচ বাংলাদেশি গ্রেফতার চিকিৎসাহীনতা : বাত-ব্যথায় ‘অল্প’ বয়সেই ‘বৃদ্ধ’ হচ্ছে মানুষ সরকার সিন্দাবাদের দৈত্য হয়ে জনগণের কাঁধে চেপে বসেছে প্রভাবশালীদের ভয়ে প্রভাবিত হওয়া যাবে না: ইসি রাশেদা শাহবাগ থেকে অবরোধকারীদের সরিয়ে দিলো পুলিশ, আটক ১৩ মোহামেডানকে হারিয়ে কিংসের পঞ্চম শিরোপা কেনা সনদের তালিকা প্রস্তুত, জমা দেওয়া হবে কারিগরি বোর্ডে : হারুন বৃষ্টিতে ঢাকার বাতাসে দূষণ কমেছে একমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার পরিবর্তন সম্ভব : হানিফ পল্টনে কুড়িয়ে পাওয়া শপিংব্যাগে ককটেল বিস্ফোরণে কিশোর আহত তিন সঞ্চালন লাইন চালু করল পিজিসিবি কোথাও জলাবদ্ধতা হলে হটলাইনে কল করতে বললেন মেয়র কুয়েতে রাজনৈতিক অস্থিরতা, সংসদ ভেঙে দিলেন আমির চাঁপাইনবাবগঞ্জে আগাম আমের বাগান বিক্রিতে হিমশিম বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে সেতু মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির শ্রদ্ধা অ্যামেক্স, সিটিম্যাক্স কার্ড থেকেও ‘অ্যাড মানি’ করা যাচ্ছে বিকাশে

চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা টু, থ্রি, ফোর বানান না পারায় হতাশ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
  • ২৬৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, শাহরিয়ার শাকির, শেরপুর প্রতিনিধি: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাাফিজুর রহমানকে ইংরেজিতে টু, থ্রি ও ফোর বানান বলতে পারল না তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা।

শনিবার শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার কদমতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাাফিজুর রহমান ফিজার উপজেলার রূপনারায়ণকুড়া ইউনিয়নের নিজপাড়া গ্রামে নতুন একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় উদ্বোধন করে ফিরছিলেন। নালিতাবাড়ী শহরে ফেরার পথে হঠাৎ রাস্তার পাশে কদমতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দেখে মন্ত্রীর গাড়িবহর থেমে যায়।
গাড়িবহরের সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। তখন বিকেল পৌনে ৩টা। গাড়ি থেকে নেমে মন্ত্রী সোজা চলে যান বিদ্যালয়টির চতুর্থ শ্রেণির কক্ষে। সেখানে ছোট ছোট কিছু শিক্ষার্থীকে দেখে মন্ত্রীর সন্দেহ জাগে তারা আসলেই চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী কি না। এ সময় কর্তব্যরত শিক্ষক মন্ত্রীকে জানালেন, ওরা সবাই চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। মন্ত্রী তখন শিক্ষার্থীদের কয়েকজনকে ইংরেজিতে ‘ফোর’ বানান লিখতে বলেন।
কিন্তু কেউই ফোর বানান লিখতে না পারায় তাদের ফোর বানান বলতে বলেন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের কেউই ফোর বানান বলতে পারেনি। তখন তিনি প্রধান শিক্ষককে ওই শ্রেণিকক্ষে ডাকেন।
তাঁকে ক্লাসের ফার্স্ট বয়, সেকেন্ড বয় কে জানতে চান। কিন্তু দেখা যায়, তারা দুজনের কেউই বিদ্যালয়ে উপস্থিত নেই। শিশুরা কেন বানান বলতে পারছে না, মন্ত্রী তা জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন, শিশুরা হয়তো ঘাবড়ে গেছে। মন্ত্রী তখন ক্ষোভের সঙ্গে ওই শ্রেণিশিক্ষকের কাছে তিনি কত বেতন পান জানতে চান। শিক্ষক তখন মন্ত্রীকে জানান, তিনি ২৬ হাজার টাকা বেতন পান।
মন্ত্রী বলেন, ‘বেতন তো বাড়ানো হয়েছে, কিন্তু আপনি শিশুদের কী শেখাচ্ছেন? তারা তো ফোরে পড়ে, অথচ ফোর বানান জানে না। ’ তখন কতজন শিক্ষক আছেন জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক জানান পাঁচজন শিক্ষক আছেন।
এই সময় সেখানে উপস্থিত স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জনপ্রতিনিধি, কিন্তু এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর কোনো খোঁজ-খবর রাখেন না। এটা কী করে হয়, বলুন!’ কথা বলতে বলতেই মন্ত্রী ঢোকেন পাশের তৃতীয় শ্রেণির কক্ষে।
সেখানে তিনি এক ছাত্রকে থ্রি বানান ইংরেজিতে লিখতে বললে সে সেই বানান শুদ্ধভাবে ব্ল্যাকবোর্ডে লিখতে সক্ষম হয়। তার কাছে মন্ত্রী জানতে চান কে তাকে বাসায় পড়ায়। শিশুটি জানায় বাবা পড়ায়। পরে মন্ত্রী বলেন, ‘সে হয়তো মেধাবী, বাড়িতে ভালো যতœ পাচ্ছে।
এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কৃতিত্ব কতটা, দেখি একটু যাচাই করে। এই বলে মন্ত্রী ওই শ্রেণিকক্ষের অন্তত ১৫ জনের কাছে থ্রি ও টু-এর ইংরেজি বানান জানতে চান। কিন্তু কোনো শিক্ষার্থীই সেই বানান বলতে পারেনি।
এই পর্যায়ে মন্ত্রী হতাশার সুরে বলেন, ‘আমরা মানসম্মত শিক্ষার কথা বললে কী হবে, মাঠপর্যায়ের চিত্র আসলে খুবই করুণ। এই বিদ্যালয়ের অবস্থা দেখে আমি খুবই মর্মাহত।
মন্ত্রী তখন ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি জানি না, আপনাদের কোথায় আসলে যাওয়া দরকার। কোথায় বদলি করা দরকার।
আমি কী বলব, আল্লাহ মালুম। এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল, পরিচালক প্রশাসন সাবের হোসেন, জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার রফিকুল হাসান গণি, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এনামুল হক এবং স্থানীয় প্রশাসন ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ বলেন, কদমতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা সত্য। আমি বিষয়টি শুনেছি।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com