বাংলা৭১নিউজ,(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে পুলিশ সদস্যদের ইয়াবা সেবন নিয়ে গ্রামবাসী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশের লাঠিপেটায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
এ ঘটনায় চরণদ্বীপ ফকিরাখালী ফাঁড়ির ইনচার্জসহ দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, উপজেলার চরণদ্বীপ ভরাপুকুরপাড় এলাকার জৈনক প্রবাসী ইসমাইলের বাসার ছাদে প্রতিদিন রাতে মদ, ইয়াবা ও গাঁজার আসর বসত।
এ আসরে যোগ দিতেন চরণদ্বীপ ফকিরাখালী ফাঁড়ির কয়েকজন পুলিশ সদস্য। গত শনিবার রাত ১২টার দিকে ফাঁড়ির কনস্টেবল রাশেদকে ইয়াবার আসরে যোগ দিতে দেখে স্থানীয়রা বাড়িটি ঘেরাও করে ফেলেন।
এ সময় উত্তেজিত গ্রামবাসী কনস্টেবল রাশেদকে গণপিটুনি দিয়ে ছেড়ে দেন। পরে রাশেদ ফাঁড়িতে ফিরে সহযোগী অন্য পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে এসে এলাকাবাসীর ওপর লাঠিপেটা করতে থাকেন।
এ সময় পুলিশের লাঠিপেটায় মহসিন, হারুন, রাশেদ, আজাদ, সাইমুম, আবদুল্লাহসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।
এদিকে এ ঘটনায় রোববার চরণদ্বীপ ফকিরাখালী ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সানোয়ার ও কনস্টেবল রাশেদকে প্রত্যাহার করে চট্টগ্রাম পুলিশলাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বোয়ালখালী থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ প্রত্যাহারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ওসি (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন ফারুকী বলেন, চরণদ্বীপ ফকিরাখালী ফাঁড়ির ইনচার্জসহ দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ আনেন এলাকাবাসী। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ফাঁড়ি ইনচার্জ মো. সানোয়ার ও কনস্টেবল রাশেদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বাংলা৭১নিউজ/পিআর