নাশকতার মামলায় চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণের দুই যুবদল নেতাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
তারা হলেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা (৫০) এবং দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি রবিউল হোসেন বাদশা (৪৫)।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে নুরুল হুদাকে এবং রবিউল হোসেন বাদশাকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় র্যাব-৭।
তবে দুই যুবদল নেতার পরিবারের দাবি, তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। বিএনপি নেতারা দুই মামলাকে ‘গায়েবি’ হিসেবে দাবি করছেন।
র্যাব জানিয়েছে, নাশকতার অভিযোগে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে ৩১ অক্টোবর রাউজান থানায় একটি এবং ১৮ ডিসেম্বর পটিয়া থানায় আরেকটি মামলা হয়। রাউজান থানার মামলায় নুরুল হুদা এবং পটিয়া থানার মামলায় রবিউল হোসেন বাদশা আসামি ছিলেন। শুক্রবার রাত সোয়া ১১টার দিকে নগরীর চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট মোড় থেকে নুরুল হুদাকে গ্রেফতার করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে।
অন্যদিকে এর আগে রাত ৮টার দিকে পটিয়া থানার হরিণখাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে রবিউল হোসেন বাদশাকে গ্রেফতার করে র্যাবের আরেকটি টিম। নুরুল হুদাকে রাউজান এবং বাদশাকে পটিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এদিকে গ্রেফতার নুরুল হুদার পরিবার বলছে, গত চারমাস ধরে দুর্ঘটনায় পা ভেঙে নুরুল হুদা হাসপাতালে এবং শহরের বাসায় অবস্থান করছিলেন। তাছাড়া তিনি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকারের কারণে রাউজানে যান না।
নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, একতরফা, ডামি ও হাস্যকর একটি নির্বাচন করার জন্যই গায়েবি মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। যে ঘটনাগুলো দেখিয়ে মামলা হয়েছে, এসব ঘটনা কখনোই ঘটেনি। তিনি যুবদলের দুই নেতাকে গ্রেফতারের নিন্দা ও মুক্তির দাবি জানান।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ