চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় নাস্তিপুর গ্রামে ঘুমন্ত অবস্থায় দুর্বৃত্তের গুলিতে হযরত আলী (৫৭) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর রাত ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত হযরত আলী দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়ার মৃত রইছ উদ্দীনের ছেলে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতে নিজ শয়নকক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন হযরত আলী। এসময় তার কক্ষের জানালার ফাঁক দিয়ে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নিলে রাত ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের ছেলে তৌফিক হাসান বলেন, নিজ ঘরে মেঝেতে ঘুমিয়ে ছিলেন আমার মা ও খাটে ছিলেন বাবা। মধ্যরাতে হঠাৎ গুলির শব্দে বাবার ঘরে ছুটে গিয়ে দেখি বাবা গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে আছেন। পরে তাকে উদ্ধার করে মোটরসাইকেলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিই।
তৌফিকের দাবি, তার বাবা বিজিবির সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। এ কারণে সীমান্ত এলাকার চোরাকারবারীরা তার বাবাকে হত্যা করেছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহরাব হোসেন জানান, রাত ১টার পর মাথার মাঝখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে আসেন হযরত আলী। কিছুক্ষণ জরুরি বিভাগে রেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মারা যান তিনি।
দর্শনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবীর জানান, ঘুমন্ত অবস্থায় হযরত আলীকে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে অভিযুক্তদের আটকে অভিযান চালাচ্ছে। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। নিহতের স্বজনরা জানিয়েছে তিনি বিজিবির সোর্স ছিলেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/পিকে