বাংলা৭১নিউজ, সৈয়দ নাজমুল ইসলাম, উজিরপুর (বরিশাল) প্রতিনিধি: উজিরপুর উপজেলার বরাকোঠা খাটিয়াল পাড় গ্রামের বেপারী বাড়ীতে বিদ্যুতের সট সার্কিট থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে গত (১৩র্মাচ) রাত ৩টার সময়। এতে দ্বিতীয় তলা বিসিষ্ট ৭টি ঘর সম্পুর্ন পুড়ে যায়। জীবন নিয়ে ঘরে অবস্থানকারীরা বের হতে পারলেও কোন মালপত্র বের করতে পারেনি।এতে প্রায় ২কোটি টাকার সম্পদ হারিয়ে এখন ছোট্র শিশু ও বয়বৃদ্ধদের নিয়ে তাদের দিন-রাত কাটে খোলা আকাশের নীচে।তাদের অন্য, বস্ত্র, চিকিৎসা চলে অন্যের দয়ার ওপর। বন্ধ হয়ে গেছে ঐ পরিবারগুলোর শিশুদের লেখাপড়া।
সব হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে- মোঃ কালাম বেপারী, মোঃ ইউনুস বেপারী,মোঃ সেলিম বেপারী, রুস্তুম বেপারী, মোঃ রশিদ খান, মনসুর খান ও স্বপন খানসহ এদের পরিবারবর্গ। এই উপজেলার বাসীন্দারা খুবই দয়াদ্র কারো কোন সমস্যা দেখাদিলে দলবল নির্বেষেসে ছুটে এসে পাশে দারায় এরই ধারা বাহিকতায় তাত খনিক ছুটে আসেন সাংসদ সদস্য এ্যড. তালুকদার মোঃ ইউনুস, উপজেলা চেয়ারম্যান আ’লীগ সহ সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমান ইকবাল পৌর মেয়র মোঃ গিয়াস উদ্দীন বেপারী,আ’লীগ সভাপতি এস.এম.জামাল হোসেন, সাধারন সম্পাদক মোঃ আঃ মজিদ সিকদার বাচ্চু, ছাত্রলীগ সভাপতি-কমিশনার অসিম ঘরামী, প্রেস ক্লাব সভাপতি-প্যানেল মেয়র মোঃ হেমায়েত উদ্দীন হিমু, ইউপি চেয়ারম্যান এড. মোঃ শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
সরজমিনে গিয়ে কথা হয় মোঃ পনির খান, লাখি বেগম, জয়নাল খান, ইসমাইল খান, রুনু বেগম, পারুল বেগম, নুরজাহান বেগম, রাশিদা বেগম, নিপা বেগম, রাজিয়া বেগমসহ অনেকেই বলেন, এই ভয়াবহতার কথা বলে কাউকে বুঝানো যাবেনা। ঘটনার সময় পরিবারগুলোর আহাজারি, আর্তনা, বাচাও বাচাও চিৎকারে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে যায়। মুহুর্তের মধ্যে হাজার হাজার মানুষ উদ্ধারের চেষ্টা করে। প্রাণগুলো বাচাতে পারলেও রক্ষা করতে পারেনি ৭টি ঘর, ধান-চাল, সোনা-দানা, টাকা-পয়সা, আসবাবপত্র কোন কিছুই।রাত শেষে দেখতে পেলাম কাঠের ঘরগুলো পুরে মাটির সাথে মিসে গেছে আর পাকা ভবনটি কালো হয়ে দাড়িয়ে আছে।
ভবনের ভিতরে ঢুকে দেখতে পেলাম- ভেতরের মালপত্র পুড়ে ছাই হলেও কুরআন শরিফ ও রেহালটির আশপাসেও আগুনের কোন চিহ্ন নেই। তারা আরো বলেন, বিপদ মহান আল্লাহ দেন, আর রক্ষার পথও দিয়েছেন। এই বাড়ি থেকে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ২০মিনিটের পথ, সঠিক সময় ফায়ার র্সাভিস আসলে এই কঠিন বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যেত। যোগাযোগা ব্যাবস্থা ভাল না থাকার কারনে ২০মিনিটের পথ পারি দিতে সময় লাগে দেড় ঘন্ট। যার পরিনতির শিকার এই পরিবারগুলোর। এবিষয় উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস