ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে লালমনিরহাট। ভোর থেকেই গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত। এতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষগুলো। এমনকি মহাসড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন।
সকালে সূর্যের দেখা মিললেও বেড়েছে কনকনে শীত। এদিকে জীবন-জীবিকার তাগিদে শীতকে উপেক্ষা করে পাতলা কাপড় পড়ে কাজের সন্ধানে বেড়িয়ে পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষ।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, গত দুইদিন ধরে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলা।
হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের আব্দুল বাকী (৭৬) বলেন, ঘন কুয়াশা হলে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়ে গরিব ও বৃদ্ধরা।
একই এলাকার নঈম উদ্দিন মিয়া ( ৮০) বলেন, গত তিন দিন ধরে শীত নেমেছে। পাতলা কাপড় পড়ে আছি আমাদের কম্বলের প্রয়োজন।
হাতীবান্ধা উপজেলার কৃষি উপসহকারী কৃষি অফিসার লতিফুল বারি বলেন, টানা এক সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশা থাকলে শাক-সবজি ও মৌসুমি ফসলের ক্ষতি হবে।
এদিকে কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সবুর হোসেন বলেন, জেলায় আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে।
বাংলা৭১নিউজ/এবি