গ্রিনহাউজ গ্যাসের নিঃসারণ নিয়ে সম্প্রতি ভয়াবহ এক তথ্য দিয়েছে ফিনল্যান্ডের আলতো ইউনি-ভার্সিটির গবেষকরা। এতে বলা হয়েছে, যে হারে এই গ্যাসের নিঃসারণ চলছে তা যদি সামনে অব্যাহত থাকে তাহলে চলতি শতাব্দীর শেষ নাগাদ বিশ্বের খাদ্য উৎপাদন অঞ্চলগুলোর এক-তৃতীয়াংশ মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়বে। এর প্রভাবে দেশে দেশে খাদ্য উৎপাদন ব্যাপকভাবে কমে যেতে পারে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
গবেষকরা বলেছেন, বর্তমানে শস্য উৎপাদনের জন্য বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলোর ৯৫ শতাংশকে ‘জলবায়ু নিরাপদ অঞ্চল’ হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু গ্রিনহাউজ গ্যাসের প্রভাবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা যদি ৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়ে যায়, তাহলে এসব অঞ্চলের অনেক জায়গায় বৃষ্টিপাতের ধরনে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে। ফলে সেখানে খাদ্যশস্য উৎপাদন মারাত্মকভাবে কমে আসবে।
গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকার সুদানো-সাহেলিয়ান অঞ্চল। প্রতিবেদনের প্রধান লেখক ও আলতো ইউনিভার্সিটির বৈশ্বিক খাদ্য ও পানি বিষয়ক সহযোগী অধ্যাপক মাত্তি কুম্মু বলেন, জলবায়ু নিরাপদ অঞ্চল ব্যাপকভাবে সংকুচিত হয়ে আসার আভাস আমাদের জন্য মারাত্মক উদ্বেগের। এর কারণে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ খাদ্য উৎপাদন ঝুঁকিতে পড়বে।
তিনি বলেন, পশুপালন ও খাদ্যশস্য উত্পাদনে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির মারাত্মক প্রভাব পড়বে। অনেক এলাকায় ভয়াবহ আকারে পানিস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। উচ্চমাত্রায় কার্বন নিঃসারণের কারণে চলতি শতাব্দীর শেষ নাগাদ দেখা দিতে পারে তীব্র খরা। এর ফলে বিশ্বের ৪০ লাখ বর্গকিলোমিটারের বেশি জায়গা মরুভূমিতে পরিণত হতে পারে। আলতো ইউনিভার্সিটির ঐ গবেষণায় দেখা গেছে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যশস্যগুলোর মধ্যে ২৭টি এবং সাত ধরনের গবাদিপশুর ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব হবে ধ্বংসাত্মক।
বাংলা৭১নিউজ/এআরকে