ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে চলাচলকারী গোল্ডেন লাইন পরিবহনের তিনটি বাস আটকে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকাগামী বাসগুলো ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে আটকে রাখা হয়।
ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহ আল নোমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার অভিযোগ, শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে নাটোরের বনপাড়া থেকে ক্যাম্পাসে আসার উদ্দেশ্যে হানিফ পরিবহনে উঠেন। পথিমধ্যে গাড়ির সমস্যা হওয়ায় কুষ্টিয়ার লক্ষ্মীপুর থেকে হানিফ গাড়ির সুপারভাইজার গোল্ডেন লাইন বাসে তাকেসহ আরও দু’জনকে তুলে দেয়।
পরে গোল্ডেন লাইনের সুপারভাইজার তার কাছে অযৌক্তিকভাবে ১০০ টাকা ভাড়া চায়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ৫০ টাকা নিতে বলায় ইঞ্জিন কাভার থেকে টান দিয়ে রাত ২.৩০ মিনিটে লক্ষ্মীপুরের একটু পরে নির্জন জায়গায় নামিয়ে দেয়। পরে বিভাগের সহপাঠীরা তাকে সেখান নিয়ে আসে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে চলাচল করা বিভিন্ন রুটের গোল্ডেন লাইনের গাড়ি থামিয়ে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে আটকে রাখছে শিক্ষার্থীরা। এ পর্যন্ত চারটি গাড়ি আটকে রাখা হয়। পরে একটি গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই বাসের যাত্রীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবি মালিকপক্ষ এসে সমাধান না করা পর্যন্ত গাড়ি ছাড়া হবে না।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, আমরা এবিষয়ে দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসেছি। কুষ্টিয়া থেকে গোল্ডেন লাইনের ম্যানেজার ক্যাম্পাসে এসেছে। আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবো।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম