রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৮:৩৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ইসলামী ব্যাংকের সচেতনতা বিষয়ক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত ‘দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই’ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ করতে চায় কানাডা কুমিল্লায় বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু দূতাবাসগুলোর কার্যক্রম তদারকির নির্দেশনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাস্থ্যসেবার আওতাধীন খাতে ইউজার ফি আদায়ে নীতিমালার সুপারিশ ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে সরকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সহজলভ্য উৎস খোঁজার তাগিদ প্রতিমন্ত্রীর বান্দরবানে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত সুইজারল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন স্পিকার জঙ্গিবাদ পুরোপুরি নির্মূল না হলেও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে: আইজিপি টেকসই উন্নয়নে সময়োপযোগী আর্থিক ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে ইশরাক ১৬ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে পালানোর সময় জনতার হাতে ধরা পুলিশ কর্মকর্তা কঙ্গোতে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা বাবাকে খুঁজে পেতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপির মেয়ে ডিবিতে কালশী ট্রাফিক বক্সে আগুন দিলো অটোরিকশাচালকরা কমলাপুর আইসিডি’র নিয়ন্ত্রণ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে নিতে সুপারিশ ভোট কম পড়ার বড় ফ্যাক্টর বিএনপি : ইসি আলমগীর অভিবাসী কর্মীদের টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করছে সরকার

গোপালগঞ্জ-৩ আসন: আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তায় শেখ হাসিনা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৮
  • ১১৩ বার পড়া হয়েছে
ফাইল ছবি

বাংলা৭১নিউজ, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান কোটালিপাড়া ও টুঙ্গিপাড়ায় প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের। এখানে নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষে যে পরিমাণ ভোট পড়ে তা খুবই নগণ্য। বছর বছর এই সংখ্যাটাও কমছে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮৬ সাল থেকে এই আসনে নির্বাচন করে আসছেন। প্রতিবারই যোজন যোজন ব্যবধানে বিজয়ী হন তিনি।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এই আসনে প্রদত্ত ভোটের ৯৮.৭ শতাংশই পড়ে নৌকায়। শেখ হাসিনা পান এক লাখ ৮৭ হাজার ১৮৫ ভোট। জাতীয় পার্টির এ জেড শেখ অপু পান দুই হাজার ৪৩০ ভোট। শতকরা হিসাবে এটি ১.৩ শতাংশ মাত্র।

ওই নির্বাচনে অবশ্য বিএনপি-জামায়াত এবং সমমনারা অংশ নেননি। কিন্তু ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে তারা অংশ নেয়ার পরও পরিস্থিতি যে অন্য রকম ছিল, তেমন নয়।

ওই বছর শেখ হাসিনা পান এক লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সেলিমুজ্জামান সেলিম পান চার হাজার ৪৫১ ভোট। কল্যাণ পার্টির আফজাল হোসেন পান ২১১ ভোট। তখন মোট ভোট পড়ে এক লাখ ৬৫ হাজার ৮৬টি এবং এর ৯৬.২৮ শতাংশই পায় নৌকা।

২০০১ সালে শেখ হাসিনা পান এক লাখ ৫৪ হাজার ১৩০ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ওমার আহমেদ পান সাত হাজার ২২৩ এবং বাংলাদেশ হিন্দু লীগের বীরেন্দ্র নাথ মিত্র পান ৯২২ ভোট।

তার আগের নির্বাচন ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা পান এক লাখ দুই হাজার ৬৮৯ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বিষ্ণুপদ হালদার পান দুই হাজার ৫৬৮ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে থাকা জামায়াতের আবদুল মান্নান পান দুই হাজার ৫১২ ভোট। ওই নির্বাচনে ভোট পড়ে এক লাখ ১১ হাজার ৩৯৭ ভোট, যার ৮২.১৮ শতাংশই পায় নৌকা।

১৯৯১ সালে শেখ হাসিনা পান ৬৭ হাজার ৯৪৫ ভোট। আর তার বিপরীতে খেলাফত আন্দোলনের ওমর আহমেদ পান ১৭ হাজার ২৫৬ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে থাকা হিন্দু লীগের বীরেন্দ্র নাথ মৈত্র পান চার হাজার ২৪৬ ভোট। তখন ভোট পড়ে ৯৪ হাজার ১০৯ ভোট। তখন প্রদত্ত ভোটের ৭২.১৯ শতাংশ পায় নৌকা।

১৯৮৬ সালে এই আসন থেকে প্রথমবার নির্বাচন করেন শেখ হাসিনা। তখন ৮০ হাজার ৬৪৬ ভোট পেয়ে জেতেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। তার বিপক্ষে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টির কাজী মাহমুদ হোসেনের পক্ষে ভোট পড়ে ২৪ হাজার ৩৫৫ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে থাকা সরাফত হোসেন চৌধুরী পান এক হাজার ৯৪০ ভোট। তখন ভোট পড়ে এক লাখ সাত হাজার ৮৬১ ভোট। তখন প্রদত্ত ভোটের ৭৪ শতাংশ ৭৬ শতাংশ পড়ে নৌকায়।

ওই বছর গোপালগঞ্জ-১ আসন থেকেও জেতেন শেখ হাসিনা। ওই আসনে তিনি পান ৮৬ হাজার ৩০১ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মোহাব্বতজান চৌধুরী পান ৬৬ হাজার ৮৮৫ ভোট। হিন্দু ঐক্যফ্রন্টের ভবেন্দ্রনাথ দাস পান ৩৬২ ভোট। মোট ভোট পড়ে এক লাখ ৫৩ হাজার ৬২৯ ভোট। অর্থাৎ প্রদত্ত ভোটের ৫৬.১৭ শতাংশ পড়ে নৌকায়।

গোপালগঞ্জবাসী আর শেখ হাসিনার এই ভালোবাসা দুই তরফেই। তারা যেমন প্রায় শতভাগ ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে নির্বাচিত করে আসছে, তেমনি তিনিও দিয়ে আসছেন তার প্রতিদান।

এলাকার একেবারে ছিন্নমূল মানুষও বিপাকে পড়লে বঙ্গবন্ধুকন্যার কাছে তার দাবি পৌঁছাতে পারেন। সেই ব্যবস্থা করা আছে। আবার বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর উন্নয়নবঞ্চিত জনপদটিতে এনেছেন সমৃদ্ধির ছোঁয়া। নতুন নতুন রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কৃষিতে বিপ্লব উপকরণ, বিনাসুদে ঋণ, গৃহহীনদের গৃহ, ভূমিহীনদের ভূমি দিয়েছেন।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ^াস বলেন, ‘আমাদের নেত্রী (শেখ হাসিনা) যতদিন জীবিত থাকবেন, ততদিনই বঙ্গবন্ধুর নৌকা নিয়ে এই আসনে নির্বাচন করবেন এটা আমাদের ও ভোটারদের প্রাণের দাবি। আমরা তৃণমূল থেকে নেত্রীকেই মনোনয়ন করে রেখেছি।’

‘প্রধানমন্ত্রীর এই আসনে অন্য কোনো দলের প্রার্থী যদি নির্বাচন করে, তাহলে তার জামানত হারাবে। অতীতে এমন হয়েছে। ভবিষ্যতেও এমনই হবে।’

গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য দেবদুলাল বসু পল্টু বলেন, ‘নেত্রীর বাইরে এই অঞ্চলের মানুষ ভুল করেও চিন্তা করে না। তিনি ছাড়া আমাদের অন্য কোনো প্রার্থী নেই বা সম্ভাবনাও নেই। বঙ্গবন্ধু যেমন এ এলাকার মানুষকে মনেপ্রাণে ভালোবাসতেন। তেমনি তিনিও (শেখ হাসিনা) আমাদের ভালোবাসেন, ¯েœহ করেন।’

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক বলেন, ‘এই আসনের মানুষের ভালোবাসায় তিনি তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী। আগামীতেও এই আসন থেকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে তিনি চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাবেন বলে আমার বিশ্বাস।’

এবার বিপরীতে প্রার্থী কে?

জেলা বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম জিলানীর নাম শোনা যাচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে। তবে দেশের অন্য এলাকার মতো এই আসনে দলটির খুব বেশি আগ্রহ নেই প্রার্থিতা নিয়ে।

এ ছাড়া কোটালীপাড়া উপজেলা জাসদের (ইনু) সভাপতি অরুণ চন্দ্র সাহা ও রিয়াজুল ইসলাম তালুকদারের (আম্মিয়া) নাম শোনা যাচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে।  সৌজন্যে: বণিক কুমার, ঢাকাটাইমস।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com