বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক : মার্ক জাকারবার্গ তার ফেসবুক টিম নিয়ে এমন-ই এক স্বপ্ন সত্যি করতে চলেছেন, যার মাধ্যমে একজন অন্য মানুসের মনের ভেতর যা চলছে তা জানতে পারবে। এবং একজন অন্যজনের মস্তিষ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে।
গত বছর প্রতিষ্ঠিত ফেসবুকের হার্ডওয়্যার রিসার্চ বিভাগ মানুষের মনের ভাষা পড়তে পারে এমন এক প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে যার নাম ‘ব্রেইন কম্পিউটার ইন্টারফেস’।
সম্প্রতি ফেসবুক এমন কিছু চাকরির ঘোষণা দিয়েছে যার মধ্যে স্নায়ুভাষাবিজ্ঞান এবং ইলেক্ট্রাসাইকোলজি ডাটা প্রোসেসিং এর চাকুরিও ছিল। এই কাজের জন্য যোগ্যতা হল তাকে অবশ্যই ব্রেইন কম্পিউটার ইন্টারফেস প্রকৌশলী হতে হবে এবং স্নায়ুবিজ্ঞান এর ওপর পিএইচডি ডিগ্রি থাকতে হবে। এর সঙ্গে আরেকটি তালিকায় এমন একজন প্রকৌশলী চেয়েছে যিনি ‘অডিও সংকেত প্রক্রিয়াজাতকরণ অ্যালগোরিদম বিকাশ’ করতে ইচ্ছুক।
ফেসবুক তাদের কাজের তালিকা সম্প্রসারিত করবে না, এমনটি এই জানিয়েছিল। কিন্তু সিইও জাকারবার্গের ২০১৫ সালের একটি ঘোষণা থেকে বোঝা যায় যে, তার কোম্পানির প্রকৃতপক্ষে মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রিত, মন এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম এমন কিছু ডিভাইস নিয়ে কাজ করছে।
২০১৫ সালে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে মার্ক জাকারবার্গ বলেন, ‘একদিন, আমি বিশ্বাস করি যে আমরা একে অপরের সঙ্গে প্রযুক্তির ব্যবহার করে সম্পূর্ণ চিন্তাধারা পাঠাতে সক্ষম হব।’
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত স্নায়ুবিজ্ঞান সাবেক প্রোগ্রাম ম্যানেজার মার্ক শেভিল্ট, ফেসবুক টিমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। তিনি তার লিঙ্কডইন প্রোফাইলে এটি নিশ্চিত করেছেন।
কিন্তু এটা এখন নিশ্চিত নয় যে, এই প্রযুক্তি উদ্ভাবনে ফেসবুক কোন পথ অনুসরণ করবে। এর আগে হেডব্যান্ড প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্রেইনের সিগন্যাল এর ওপর কাজ করেছিল ফেসবুক টিম। এখন আদৌ ওই পথে ফেসবুক হাঁটছে কিনা এটাই দেখার বিষয়।
ফেসুবক প্রতিষ্ঠা করেছে নিজস্ব প্রতিরক্ষা রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সি (ডার্পা)
ফেসবুকের বিল্ডিং ৮ সম্পর্কে খুব কম সংখ্যক তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। যখন ডাগুন ফেসবুকের সঙ্গে যুক্ত হয় তখন ফেসবুক থেকে জানানো হয় যে, ডাগুন এই ভবনের দায়িত্বে থাকবে এবং উদ্দেশ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের মাধ্যমে শরীরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা। ডাগুন এর আগে মার্কিন সরকারের উন্নত প্রতিরক্ষা রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সি বা ডার্পা এর পরিচালক ছিলেন।
বিল্ডিং ৮ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো পণ্য ঘোষণা করেনি, কিন্তু তাদের এই কাজের তালিকা ইঙ্গিত করে যে, এখানে অভ্যন্তরীণ প্রকল্প চলছে।
তথ্যসূত্র : বিজনেস ইনসাইডার