বাংলা৭১নিউজ,রাজশাহী প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে চলছে উন্নয়ন। মানুষের মধ্যে ফিরে আসছে প্রানচাঞ্চলতা। বাংলাদেশ এখন বিদেশে একটা উন্নয়নের মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ইতিবাচক। সরকারের এই উন্নয়নের ধাবাহিকতায় রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। সে দিক থেকে মাদ্রাসাও পিছিয়ে নেই।
২০১৯-২০২০ ইং অর্থ বছরে গোদাগাড়ীর মহিশালবাড়ী শাহ সুলতান (রহ) কামিল মাদ্রসার ও তানোর উপজেলার বৈদ্যপুর দারুস সালাম মাদ্রাসায় প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২টি ৪ তলা একাডেমিক ভবন নির্মান করা হবে বলে রাজশাহী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। ৪ তলা ভিতবিশিষ্ট একতলা একাডেমিক ভবন নির্মান করা হবে গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ী মহাবিদ্যালয়ে, গোগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজে, ললিত নগর শহীদ স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে, তানোর উপজেলার কিসমত বিল্লী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে, একই উপজেলার চন্দন কোঠা উচ্চ বিদ্যালয়ে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটিতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৮৫ লাখ টাকা করে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কাজগুলি বাস্তবায়ন করবেন।
এ ছাড়া দু উপজেলার ১০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেরামত ও সংস্কার কাজ করা হবে। প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যয় করা হবে ২০ লাখ টাকা করে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি হলো, গোদাগাড়ী উপজেলার, ললিত নগর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, হরিণ বিসকা উচ্চ বিদ্যালয়, প্রতিভা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সৈয়দপুর শহীদ মনজু উচ্চ বিদ্যালয়, পাকড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, তানোর উপজেলা চুনিয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়,সরনজাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,ইলামদহী হাট নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, মালবাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়, ময়েনপুর উচ্চ বিদ্যালয়।
উন্নয়নের অংশ হিসেবে গোদাগাড়ী উপজেলা জেলায় গত ২০১৭ – ২০১৮ ইং অর্থ বছরে প্রায় ৬কোটি টাকা ব্যয়ে ২ টি মাদ্রাসায় একাডেমিক ভবন নির্মানের কার্য়ক্রম শুরু হয়েছে। মাদ্রাসা গুলি হলো উপজেলার বাউটিয়া দাখিল মাদ্রাসা, রাজারামপুর চাত্রা দারুল হাদিস আলিম মাদ্রাসা, একই অর্থ বছরে প্রায় ৩০ কোটি ব্যয়ে ১০ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪ তলা একাডেমিক ভবন নির্মানের জন্য কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রকৌশলী দিপক কুমার মন্ডল বলেন, বিদ্যালয় গুলির একাডেমিক ভবনের কাজ গুলি পুরোদমে এগিয়ে চলছে।
প্রতিটি একাডেমিক ভবনে ব্যয় হবে প্রায় ৩ কোটি টাকা। ১২ টি বিশাল শ্রেণী কক্ষ, টয়লেট, বাথরুম, সিঁড়ি, আসবাবপত্রসহ আধুনিক সুযোগ সুবিধা থাকবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর একাডেমিক ভবন গুলি নির্মান করছেন। একাডেমিক ভাবন যে সকল স্কুলে একাডেমিক ভবন নির্মান করা হচ্ছে সে গুলি হলো গোদাগাড়ী উপজেলার মহিশালবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, মাটিকাটা উচ্চ বিদ্যালয়, ভাগাইল উচ্চ বিদ্যালয়, রিশিকুল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চম্পক নগর উচ্চ বিদ্যালয়, লস্করহাটি উচ্চ বিদ্যালয়, বাসুদেবপর শাহীদুন্নেসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, দিগরাম উচ্চ বিদ্যালয়, চন্দলাই পরগনা উচ্চ বিদ্যালয়, মাছমারা উচ্চ বিদ্যালয়, এদিকে রাজাবাড়ী হাট উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে উর্ধ্বমূখি করার কথা থাকলেও সেটি না নিয়ে বিদ্যালয় কতৃপক্ষ নিজ অর্থায়নে করায় সোনাদীঘি উচ্চ বিদ্যালয়ে বরাদ্ধ চলে যাওয়ায় এখন চার তলা করা হচ্ছে।
ভাটোপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে একই পরিমান আর্থে ব্যয়ে উর্ধ্বমুখী ভবন নির্মানের কাজ শেষ হয়েছে। মাটিকাটা আদর্শ ডিগ্রী কলেজে ৭৫ ব্যয়ে ও ব্রাহ্মণগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে একই পরিমান অর্থ ব্যয়ে ৪ তলা ভিত এক তলা ভবনের নির্মান কাজ শেষ হয়েছে।। কাঁকনহাট মহাবিদ্যালয়ের ঝুকিপূর্ণ ভবন সংস্কার ও মেরামতের জন্য ২৫ লাখ টাকা, এ ছাড়া সংস্কার ও মেরামতের জন্য আরও ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৫ লাখ টাকা করে পেয়েছে এগুলি হলো মহিশালবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, আলোকছত্র উচ্চ বিদ্যালয়, গোগ্রাম স্কুল এন্ড কলেজে, বাসুদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়, রাজাবাড়ী হাট উচ্চ বিদ্যালয়, কাঁকনহাট মহিলা দাখিল মাদ্রাসা, চন্দলাই পরগনা উচ্চ বিদ্যালয়, কাঁকনহাট উচ্চ বিদ্যালয়, এ দিকে গুলগফুর স্কুল এন্ড কলেজের ৪তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবনের নির্মান কাজ শেষ হয়েছে। এ ব্যয় করা হচ্ছে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
সোনাদীঘি উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন ৪ তলা ভিত একতলা ভবনের নির্মান কাজ হয়েছে এবং সেখানে পুনরায় ৪ তলার কাজ চলছে। সোনাদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম জানান, এতে ব্যয় হয়েছে ৭০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এতে ৪০০ জন শিক্ষার্থী উন্নত পরিবেশে শিক্ষা গ্রহনের সুযোগ পাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সুযোগ পাওয়ায় এ ভবন টি এখনি চার তলাতে রুপান্তরিত হচ্ছে। পিরিজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮২ লাখ, ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে, চর আষাড়িয়াদহ কানাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭৮ টাকা, আল জামিয়াতুস সালাফিয়া আলিম মাদ্রাসায় ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪ তলা ভিতের ১ তলা একাডেমিক ভবনের কাজগুলি শেষ পর্যয়ে বলে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর গোদাগাড়ীর উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুস সামাদ এ প্রতিবেদককে জানান।
তিনি আরও জানান, আগামী ১৮ মাসের মধ্যে একাডেমিক ভবনের নির্মান কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যায়। মহিশালবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: হায়দার আলী বলেন, ছাত্রী, শিক্ষক ও এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতিতে সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী, রাজশাহী ১ আসনের সংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী ৪ তলা একাডেমিক ভবন দেয়ায় আমারা দারুন খুশি। উনার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করি। বর্তমান সরকার ও এমপি মহোদয় শিক্ষা বান্ধব আবারও প্রমান হলো। তিনি আরও বলেন নির্মান কাজ শেষ হলে ৭০০ শতাধিক শিক্ষার্থীর শিক্ষার গুনগতমান বৃদ্ধি পাবে দীর্ঘদিনের অবকাঠামোর সমস্যার সমাধান হবে এবং পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল আরও ভাল হবে।
রাজশাহী -১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নের সরকার, শিক্ষা বান্ধব সরকার, শেখ হাসিনা প্রধান মন্ত্রী হলে দেশের উন্নয়ন হয় এটা তার বড় প্রমাান। অন্য কেউ প্রধান মন্ত্রী হলে দেশের ক্ষতি হয় দেশ পিছিয়ে যায়, দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান হয়। বিএনপি জামায়াত জোট মাদ্রাসার কোন ভবন করতে পারেনি, উন্নয়ন করতে পারেনি। গোদাগাড়ী উপজেলা
উপজেলা চেয়ারম্যান মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নের জন্য যে নিরলস ভাবে কাজ করছে তা গোদাগাড়ীর চিত্র দেখে বোঝা যায়। উন্নয়নের রুপকার আমাদের সংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সার্বিক উন্নয়নের জন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। এ উন্নয়নে বেশামাল হয়ে বিএনপি জামায়াতের নেতা কর্মীরা সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচাার চালাচ্ছে। তাদের ব্যপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: নাজমুল ইসলাম সরকার বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার, উন্নয়নের সরকার, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন লক্ষে সরকার উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সার্বিক ক্ষেত্রে উন্নয়ন কাজে আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা হিসেবে বাস্তয়নের জন্য সরকারকে সময় সহযোগিতা করবো বলে তিনি জানান। এমপি মহোদয় কঠোর পরিশ্রম করে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন করছেন, উনাকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ বলেন, রাজশাহী-১ আসনের এমপি আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীকে গোদাগাড়ীতে ১৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাডেমিক ভবণ নির্মানসহ কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করছেন। ফারুক চৌধুরী দু নয়ন গোদাগাড়ী তানোর উপজেলার সার্বিক উন্নয়ন। আপনাদের সিডিউল অনুযায়ী কাজ গুলি হচ্ছে কিনা দেখভাল করতে হবে। যেন কাজটি দীর্ঘস্থায়ী হয়।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হবে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও শিক্ষার গুনগত মান বৃদ্ধি পাবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তিনি আরও বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তা, ব্রীজ, কালভাটসহ ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করা হবে।
বাংলা৭১নিউজ/হায়দার আলী গোদাগাড়ী