গাজায় সব ধরনের মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির দাবি, হামাসকে অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি সম্প্রসারণ পরিকল্পনায় রাজি হতে হবে।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শেষ হয়েছে শনিবার। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর জানিয়েছে— হামাস এখন পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফের প্রস্তাবিত সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
হামাসের একজন গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করার ঘটনাটিকে ‘সস্তা ব্লাকমেইল’ এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে ‘অভ্যুত্থান’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি এই ঘটনায় মধ্যস্থতাকারীদের সহায়তাও চেয়েছেন।
বিবিসি জানায়, হামাস এই চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ বাস্তবায়নের পক্ষে, যা মূল চুক্তি অনুযায়ী হওয়ারই কথা ছিল। এতে বন্দিদের মুক্তি ও গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের শর্ত অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এর আগে হামাস বলেছিল, যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতাকারীদের নিশ্চয়তা ছাড়া তারা যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের কোনো সম্প্রসারণে রাজি হবে না।
এদিকে, নেতানিয়াহুর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রথম ধাপের বন্দিবিনিময় চুক্তি শেষ হয়েছে এবং হামাস উইটকফের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, আজ (রোববার) সকাল থেকে গাজায় সব ধরনের পণ্য ও সরবরাহ প্রবেশ বন্ধ থাকবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ