গাজার আল-শাতি ক্যাম্পে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়েহের বোনসহ ১০ জন নিহত হয়েছেন। খান ইউনিসে ত্রাণসামগ্রী নিতে যাওয়া লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ত্রাণবাহী ট্রাকের পাহারায় থাকা এক রক্ষীসহ অন্তত ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। খবর আল জাজিরার।
ফিলিস্তিন শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক সংস্থা এক বিবৃতিতে বলেছে, গাজা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। ট্রাকে করে খাবার এবং বিশুদ্ধ পানি নিয়ে অপেক্ষায় থাকার পরেও শিশুরা অপুষ্টি এবং পানিশূন্যতায় মারা যাচ্ছে। ইসরায়েলের ক্রমাগত হামলায় ফিলিস্তিনিদের কাছে ত্রাণ সহায়তায়ও পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও যুদ্ধ চলবেই। অপরদিকে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস বলছে, নেতানিয়াহুর এই মন্তব্য থেকে বোঝাচ্ছে যে, তিনি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।
এদিকে ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেটের এক সাবেক কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েলের জন্য ‘সবচেয়ে বড় বিপদ’ হচ্ছে নেতানিয়াহু। গাজায় শান্তি প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার জন্য হামাসকে সমর্থন করার জন্য নেতানিয়াহুকে অভিযুক্ত করেছেন গনেন বেন ইজহাক নামের ওই সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, ক্ষমতায় থাকার জন্য এসব করছেন নেতানিয়াহু।
৫৩ বছর বয়সী এই সাবেক গুপ্তচর ২০০০ সাল থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে ফিলিস্তিনি বিদ্রোহের কথা উল্লেখ করে এএফপিকে বলেন, নেতানিয়াহু সত্যিই ইসরায়েলের জন্য সবচেয়ে বড় বিপদ এবং আমাকে বিশ্বাস করুন, আমি দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সময় কয়েকজন বড় সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে নেতানিয়াহুর সাম্প্রতিক উত্তেজনার কথা জোর তিনি বলেন, আমি মনে করি নেতানিয়াহু ইসরায়েলকে ধ্বংসের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, বাইডেন ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় সমর্থক… এবং নেতানিয়াহু তার মুখেই থুথু ছিটিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইসরায়েলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ধ্বংস করছেন তিনি।
গনেন বেন ইজহাক বলেন, ইসরায়েল আজ অভ্যন্তরীণভাবেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তিনি (নেতানিয়াহু) সবকিছু ধ্বংস করে দিচ্ছেন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে অভিযানের নামে গত ৮ মাসে কমপক্ষে ৩৭ হাজার ৬২৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৮৬ হাজার ৯৮ জন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ